বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবি তুললেন খোদ অমর্ত্য সেন!
অমর্ত্য সেনের অভিযোগ, ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে আরএসএস-র দ্বারা। প্রতি বছর যেখানে ১০০ জন পড়ুয়া ভর্তি হত, এখন ২০-র বেশি পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছেন না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিস্ফোরক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। নাসিরুদ্দিন-নালন্দা-সহ একাধিক বিতর্কে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ৮৫ বছর বয়সী ওই নোবেল জয়ী অর্থবিদ। মঙ্গলবার, কলকাতায় এশিয়াটিক সোসাইটির একটি অনুষ্ঠান যোগ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমশ তার ঐতিহ্য ও নিজস্বতা হারাচ্ছে। এর জন্য সরাসরি মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।
আরও পড়ুন- জেনারেলদের সংরক্ষণ ইস্যুতে মোদী সরকারের পাশে মায়াবতী
অমর্ত্য সেনের অভিযোগ, ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে আরএসএস-র দ্বারা। প্রতি বছর যেখানে ১০০ জন পড়ুয়া ভর্তি হত, এখন ২০-র বেশি পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছেন না। এই বিশ্ববিদ্যালয় তার ঐতিহ্য এবং বৌদ্ধ ধর্মের উন্মুক্ত ভাবনার জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্থান পেয়েছে। কিন্তু এখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় অন্য ভাবনায়। তিনি মনে করেন, প্রয়াগরাজ, অযোধ্যার মতোই নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দেওয়া উচিত। যুক্তি দেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় তার গরিমা, ঐতিহ্যের উপর দাঁড়িয়ে নেই। তাই তার নাম পরিবর্তন করা উচিত। উল্লেখ্য, কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৫ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য এবং নালন্দা পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন- বিজেপির অনুষ্ঠানে লুচি-তরকারি-মিষ্টি আর মদের বোতল! বিপাকে যোগীর রাজ্য
সম্প্রতি, জালন্ধরে ১০৬তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনামে আসে। সেই প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, বিজ্ঞানেরও নয়া নাম ভাবা উচিত। বিজ্ঞান মঞ্চে অন্ধ্র প্রদেশের উপাচর্য জি নাগেশ্বর রাওয়ের দাবি, কৌরবরা হলেন টেস্টটিউব বেবি। যা ঘটেছিল হাজার বছর আগে। এমনকি ওই মঞ্চ থেকেই বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের থেকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বড় বিজ্ঞানী হতে পারেন, এমনটা দাবি করেছিলেন বিজ্ঞানী কান্নন জেগাথালা কৃষ্ণন। এ প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, বিজ্ঞানের নাম করে যা খুশি তাই বলা হচ্ছে।
এ দিন ফের নাসিরুদ্দিন শাহের পাশে দাঁড়িয়ে নোবেল জয়ীর মন্তব্য, আমি চাই না কেউ আর সহিষ্ণু হোক। এ দেশে অসহিষ্ণুতাই এখন মূল্যবান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা আমরা উত্পাদন করছি। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। তিনি বলেন, পুলিসের খুনের চেয়ে গরুর মৃত্যু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাসিরুদ্দিনের এমন মন্তব্যে রে-রে করে উঠেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। দেশ ছাড়ার হুমকি এসেছে শিবসেনা-বিজেপির তরফেও।