শিবলিঙ্গের মাথায় বিছে মোদী, চপ্পল দিয়ে মারা যায় না, বিতর্কিত মন্তব্য শশীর

মোদী ও আরএসএসের সম্পর্ক বোঝাতে বিতর্কিত রূপক ব্যবহার কংগ্রেস সাংসদের। 

Updated By: Oct 28, 2018, 03:02 PM IST
শিবলিঙ্গের মাথায় বিছে মোদী, চপ্পল দিয়ে মারা যায় না, বিতর্কিত মন্তব্য শশীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করতে গিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। আরএসএস এক নেতার কথা উদ্ধৃত করে শিবলিঙ্গের উপরে থাকা বিছের সঙ্গে মোদীর তুলনা করেন তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ। 

বেঙ্গালুরুতে সাহিত্য উত্সবে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ বলেন, ''মোদী ও আরএসএসের সম্পর্ক বোঝাতে এক সাংবাদিকের কাছে দারুণ একটা রূপক ব্যবহার করেছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরএসএস নেতা। তিনি বলেছিলেন, শিবলিঙ্গের মাথায় বিছের মতো চড়ে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। হাত দিয়েও সরানো যাবে না, আবার চপ্পল দিয়েও মারা যাবে না''। 

শনিবার বেঙ্গালুরুতে সাহিত্য সম্মেলনে নিজের লেখা বই The Paradoxical Prime Minister' নিয়ে কথা বলছিলেন, তখনই শশী প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে টিপ্পনি কাটেন। কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, মোদীত্ব অর্থাত্ মোদী ও হিন্দুত্বের মেলবন্ধনের কারণেই আরএসএসের সংগঠনে এতটা উপরে আসতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।এরইসঙ্গে মোদী সরকারকে নিশানা করে শশী থারুর দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিসে পুরনো কর্মীদের মোদীর নিযুক্ত কর্মীদের সম্মতির অপেক্ষায় থাকতে হয়। এজন্য সিবিআই অধিকর্তা বদলের খবর জানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিদেশনীতি পরিবর্তনের ব্যাপারে অন্ধকারে থাকেন বিদেশমন্ত্রী। রাফাল চুক্তির খুঁটিনাটি বদলের ব্যাপারে শেষমুহূর্ত পর্যন্ত জানতে পারেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

কেন প্রধানমন্ত্রীকে বিছের সঙ্গে তুলনা করলেন শশী থারুর? অনেকেই বলছেন, কংগ্রেস সাংসদ আসলে আরএসএস-মোদীর সংঘাতের ধুঁয়ো তুললেন। তিনি বোঝাতে চাইলেন, শিবলিঙ্গের উপরে থাকা বিছের মতো ক্ষমতার শীর্ষ চড়ে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। চাইলেও তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না আরএসএস। 

এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন শশী থারুর। ২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে 'হিন্দু পাকিস্তান' তৈরি হবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন। তিরুঅনন্তপুরমে 'ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে শশী থারুর বলেছিলেন,''২০১৯ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে জিতলে ভারতীয় সংবিধান সুরক্ষিত থাকবে না। ওরা নতুন সংবিধান লিখতে চলেছে। আর ওই নতুন সংবিধানে থাকবে হিন্দু রাষ্ট্রের নীতি। সংখ্যালঘুদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। তৈরি হবে হিন্দু পাকিস্তান। এজন্য স্বাধীনতার লড়াইয়ে সংগ্রামে অংশ নেননি মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, সর্দার পটেল, মৌলানা আজাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।''

থারুরের যুক্তি ছিল, ''রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় নিজেদের নীতি প্রণয়ন করতে পারছে না গেরুয়া শিবির। তবে ৪-৫ বছরে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে।'' দেশের হিন্দুদের কংগ্রেস অপদস্থ করেছে বলে দাবি করে বিজেপি। তবে শশী থারুরের পাশে দাঁড়ায়নি কংগ্রেস। দূরত্ব বজায় রেখে দলের মুখপাত্র জুহি চর্তুবেদী বলেছিলেন, ''এটা ওনার ব্যক্তিগত অবস্থান। তবে দল বিশ্বাস করে সকলেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে।''

আরও পড়ুন- গঙ্গায় ৬ দিনের কন্যাসন্তান ভাসাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন মা-বাবা

.