মোদীবিরোধী বক্তব্য শুনতে ফাঁদ তৈরি করছে মিডিয়া, মস্করা করেছেন প্রধানমন্ত্রী: অভিজিৎ
অভিজিৎবাবুর সঙ্গে রসিকতাও করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোবেলপ্রাপ্তির পর ভারতের অর্থনীতি নিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ব্যবহার করে মোদী সরকারকে বিঁধছে বিরোধীরা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন অভিজিৎবাবু। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্কে অভিনব আখ্যা দিলেন নোবেলজয়ী। অভিজিৎবাবুর সঙ্গে রসিকতাও করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিৎ ন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''আমার কাছ থেকে মোদীবিরোধী বক্তব্য শুনতে ফাঁদ তৈরি করছে সংবাদমাধ্যম। এটা নিয়ে রসিকতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। উনি টিভি দেখেন। আপনাদেরও দেখছেন। উনি জানেন, আপনারা কী করতে চাইছেন।''
#WATCH Nobel Laureate Abhijit Banerjee after meeting Prime Minister Modi: Prime Minister started by cracking a joke about how the media is trying to trap me into saying anti-Modi things. He has been watching TV, he has been watching you guys, he knows what you are trying to do pic.twitter.com/sDgXnSBQqI
— ANI (@ANI) October 22, 2019
মোদী সরকারের নোট বাতিলের বিরোধিতা করেছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পে রূপরেখাও তৈরি করেছেন। তাঁর নোবেল জয়ের পর রাহুল গান্ধী সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। বিমুদ্রাকরণ নিয়ে অভিজিৎবাবুর মন্তব্য ফের একবার হয়ে ওঠে প্রাসঙ্গিক। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাম মনোভাবাপন্ন আখ্যা দেন পীযূষ গোয়েল। তাঁর অর্থনৈতিক তত্ত্ব দেশের মানুষ খারিজ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রেলমন্ত্রী। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা তাঁর বিদেশি স্ত্রী নিয়ে কু-মন্তব্য করে বসেন। অভিজিৎবাবু অবশ্য যাবতীয় বিতর্ক গায়ে মাখতে নারাজ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পেশাদার হিসেবেই কংগ্রেসকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। বিজেপি সাহায্য চাইলেও ফেরাবেন না। কোনও ধরনের নীতির প্রতি তাঁর পক্ষপাতিত্ব নেই। গুজরাটে মোদী সরকারের সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ''নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাট পরিবেষশ নিয়ন্ত্রক বোর্ডের সঙ্গে কাজ করেছি। সত্যি বলতে কি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে ওরা। আর আমার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নেওয়া নীতিগুলি রূপায়ন হয়েছে।''
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর অভিজিৎবাবু বলেন,''প্রশাসনকে নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলস্তরে প্রশাসনকে নিয়ে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে আমলাদের হাতে। প্রশাসনের কাছ থেকে জবাব পাচ্ছেন না মানুষ। প্রশাসনকে আমলাতন্ত্র থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। আরও বেশি করে তত্পর করে তুলতে চাইছেন। সাধারণ মানুষের মতামত জেনে তৃণমূলস্তরে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটানো হচ্ছে। আমাদের দেশে আমলাতন্ত্র মাটির সঙ্গে থাকাই বাঞ্ছনীয়। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী, অভিনব অভিজ্ঞতা হয়েছে।''
আরও পড়ুন- ‘একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ সংগঠক’, অমিত শাহের জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা মোদীর