টাকার বিনিময়েই ২ জঙ্গিকে বের করে দিচ্ছিলেন দেবিন্দর, নাকি ভেতরে রয়েছে গভীর রহস্য! তদন্ত শুরু এনআইএ-র

বর্তমানে শ্রীনগরে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং ইউনিটের দায়িত্বে থাকা দেবিন্দারকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে সে কাশ্মীর থেকে ২ জঙ্গিকে বের দিচ্ছিল

Updated By: Jan 18, 2020, 05:49 PM IST
টাকার বিনিময়েই ২ জঙ্গিকে বের করে দিচ্ছিলেন দেবিন্দর, নাকি ভেতরে রয়েছে গভীর রহস্য! তদন্ত শুরু এনআইএ-র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরে গ্রেফতার ডিএসপি দেবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার দেবিন্দরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।  তারপরেই কাশ্মীরের কাজিগুন্দ থানায় দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করল এনআইএ। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে দিল্লিতেও আনা হতে পারে দেবিন্দর সিংকে।  তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্রও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

সূত্রের খবর, ২৬ জানুয়ারি বড়ো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল হিজবুল মুজাহিদিনের।  কোন কোন জায়গাকে টার্গেট করা হয়েছিল তা জানতে ম্যারাথন জেরা করা করা হচ্ছে ধৃত ডেপুটি এসপি দেবেন্দ্রকে।  পুলিশ কর্তার বাড়ি ও অফিস এর সিসিটিভি, ফোনেনর শেষ তিন মাসের কল রেকর্ড চেক করেছে এনআইএ।  বাড়ির লগবুক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  এছাড়াও ব্যাঙ্ক একাউন্ট ডিটেল ও প্রপার্টি নথিও দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-অভিনন্দন যাত্রায় 'আক্রান্ত' দিলীপ ঘোষ, ট্যাবলো ভাঙচুরের অভিযোগ

উল্লেখ্য, গত রবিবার তিন জঙ্গি নাভেদ বাবা, রফি আহমদ ও ইরফান নামে তিন জঙ্গির সঙ্গে একই গাড়িতে গ্রেফতার হন দেবিন্দর।  পুলিস দেবিন্দরের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান সিটে বসা ২ জন তাঁর দেহরক্ষী। পরে গাড়ি তল্লাশি করে বেশ কয়েকটি হ্যান্ড গ্রেনেড সহ বেশ কিছু অস্ত্র পাওয়া যায়। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় দেবিন্দরকে।

বর্তমানে শ্রীনগরে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং ইউনিটের দায়িত্বে থাকা দেবিন্দারকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে সে কাশ্মীর থেকে ২ জঙ্গিকে বের দিচ্ছিল।  এখন শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে দুই জঙ্গিকে কাশ্মীরে থেকে বের করে দিচ্ছিলেন নাকি অন্যকিছু পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের তা তদন্ত করে দেখবে এনআইএ।

আরও পড়ুন-অভিনন্দন যাত্রায় 'আক্রান্ত' দিলীপ ঘোষ, ট্যাবলো ভাঙচুরের অভিযোগ

এদিকে, দেবিন্দর সিং ধরা পড়তেই তার অতীত প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে।  জানা যাচ্ছে, সংসদ হামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আফজল গুরুকে সে চাপ দিয়ে এক পাক জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি পাঠিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে একটি ঘর ভাড়া ও একটি গাড়ি কিনে দিতে নির্দেশ দেয়। সংসদ হামলায় মৃত্যু হয় মহম্মদের। জেল থেকে নিজের আইনজীবীকে লেখা চিঠিতে ওইসব কথা জানায় আফজল গুরু।

.