ইন্ডিয়া'স ডটার তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু 'সাজানো' বললেন নির্ভয়ার বন্ধু
ভারতে নিষিদ্ধ তথ্যচিত্র ইন্ডিয়াস ডটারে দিল্লি গণধর্ষণের সেই অভিশপ্ত রাতের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছেন লেসলি উডউইন। তবে সেই কথা মানতে রাজি নন ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সেই রাতে নির্ভয়ার সঙ্গী সেই বন্ধু অভনিন্দ্র পান্ডের মতে ইন্ডিয়াস ডটার পুরোটাই সাজানো।
ওয়েব ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ তথ্যচিত্র ইন্ডিয়াস ডটারে দিল্লি গণধর্ষণের সেই অভিশপ্ত রাতের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেছেন লেসলি উডউইন। তবে সেই কথা মানতে রাজি নন ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। সেই রাতে নির্ভয়ার সঙ্গী সেই বন্ধু অভনিন্দ্র পান্ডের মতে ইন্ডিয়াস ডটার পুরোটাই সাজানো।
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ভয়ার তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অভনিন্দ্র ছবির বিষয়বস্তু অসংবেদশীল ভাবে ব্যবহার করার জন্য দুষেছেন লেসলিকেই। অভনিন্দ্র বলেন, "ছবিতে ধর্ষিতার দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো যায়নি, তাই আমার মনে হয় তথ্যচিত্র সমতা হারিয়েছে। সত্যি ঘটনা সামনে আসেনি ও বিষয়টাকে পুরোটাই সাজানো হয়েছে। সেই রাতে কী ঘটেছিল তা শুধু আমি আর জ্যোতি জানি এবং তার ধারকাছেও যায়নি তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু।"
তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে সতেন্দ্র নামের শিক্ষকের চরিত্র। যার অস্তিত্বই স্বীকার করেননি অভনিন্দ্র। তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে সেই রাতে অভনিন্দ্র অ্যাকশন মুভি দেখতে চেয়েছিলেন, জ্যোতি দেখতে চেয়েছিলেন লাইফ অফ পাই। সেই বক্তব্যও সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়েছেন অভনিন্দ্র। তিনি বলেন, "অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ছবিটা নিয়ে। আবেগ ও ভারতের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অযথা মজা করা হয়েছে ছবিতে।" অভনিন্দ্রর মতে, পরিস্থিতি সরকারের হাতের বাইরে চলে গেলেও সময় মতো সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল সরকার। অভনিন্দ্র বলেন, "এই তথ্যচিত্র ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। দেখিয়েছে যে কেউ দেশের সেন্ট্রাল জেলে ঢুকে পড়তে পারে, অপরাধীদের সাক্ষাত্কার নিতে পারে।"
অভনিন্দ্রকে কি তথ্যচিত্রে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? অভনিন্দ্র বলেন, "আজ থেকে দেড় বছর আগে ২০১৩ সালে আমার কাছে প্রস্তাব আসে। তথ্যচিত্র তৈরির উদ্দেশ্য আমার কাছে স্পষ্ট না হওয়ায় আমি রাজি হইনি। সেই সঙ্গেই আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম না, শারীরিক ভাবেও অসুস্থ ছিলাম না।"
তথ্যচিত্র মুক্তির ব্যাপারে আলাদা সেন্সর বোর্ড গঠনের দাবি করেছেন অভনিন্দ্র।