নির্মলার তৃতীয় বরদান : কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ ১ লাখ কোটি
আন্তঃরাজ্য ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে। রাজ্যে রাজ্যে খাদ্য ভিত্তিক ক্লাস্টার।
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম দিনের ঘোষণায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। দ্বিতীয় দিনের ঘোষণায় গুরুত্ব পেয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক, কৃষক ও হকাররা। এবার শুক্রবার তৃতীয় দিনের ঘোষণার কৃষির সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৌমাছি পালন সহ কৃষির নানান ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য ১ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন নির্মলা।
কৃষি আইন
এদিন নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেন, কৃষকদের ফসলের দামের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। কৃষকদের যাতে কেউ শোষণ করতে না পারে, তার জন্য আইন আনবে কেন্দ্র। নয়া আইনে আন্তঃরাজ্য ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে। এরফলে উপকৃত হবেন কৃষকরা। ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে আর কোনও গন্ডি রাখা হবে না। কৃষকরা তাঁদের ফসল যেখানে খুশি সেখানে বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী মজুতের ঊর্ধ্বসীমা এবার থেকে তুলে দেওয়া হবে।
মৌ পালন, ডেয়ারি, ওষধি চাষ
এদিন কৃষিপণ্য পরিবহণের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন নির্মলা সীতারমণ। গ্রামীণ এলাকায় ২ লাখ মৌমাছি পালনের জন্যও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভেষজ ও ওষধি গাছ চাষে ৪ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। গঙ্গার তীরবর্তী ৮০০ হেক্টর জমি বাছাই করে সেখানে এই চাষ হবে । একইসঙ্গে ডেয়ারি শিল্পের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ও ইনসেনটিভ ঘোষণা করেন নির্মলা।
মৎস্যচাষ ও খাদ্য ক্লাস্টার
এদিন মৎস্যচাষের জন্য বরাদ্দের কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী 'মৎস্য সম্প্রদায় যোজনা'য় ২০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার মধ্যে ৯ হাজার কোটি টাকা অন্তর্দেশীয় মৎস্য চাষে ও ১১ হাজার কোটি টাকা সামুদ্রিক মৎস্য চাষে খরচ করা হবে। এদিন নির্মলা সীতারমণ রাজ্যে রাজ্যে খাদ্য ভিত্তিক ক্লাস্টার তৈরির কথাও ঘোষণা করেন। যেমন কাশ্মীরে কেশর, অন্ধ্রপ্রদেশে লঙ্কা, বিহারে মাখন ক্লাস্টার তৈরির কথা বলেন তিনি। জানান, ১ লাখ কোটির মধ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
আরও পড়ুন, ভারত অর্থবহ ভূমিকা পালন করেছে! মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিল গেটস