পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থী এবার ভারতের গ্রামে পঞ্চায়েত প্রধান
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝে এমন খবর সাড়া ফেলেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০০১ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে এদেশে এসেছিলেন। তার পর দীর্ঘ ১৮ বছর লড়াই করে অবশেষে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। যোধপুরের সেই নীতা কানওয়ার এবার পঞ্চায়েত প্রধান হলেন। ২০০১ সালে সুশিক্ষার আশায় এদেশে এসেছিলেন নীতা। তার পর থেকে এদেশেই থাকতে শুরু করেন তিনি। বিয়ে হয় এদেশেই। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব পান। এর পর টঙ্ক জেলার নটওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে প্রধান হলেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝে এমন খবর সাড়া ফেলেছে। নীতা জানিয়েছিলেন, তাঁর শ্বশুর ঠাকুর লক্ষ্মণ করণ তাঁর অনুপ্রেরণা। লক্ষ্মণ করণ এর আগে তিনবার নটওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছিলেন। নীতা ভারতে চলে এলেও তাঁর বাবা ও ভাই পাকিস্তানের সিন্দু প্রদেশে রয়েছেন এখনও। তাঁরা সেখানে কৃষিকাজ করেন। নীতার সঙ্গে তাঁর দিদি অঞ্জনা সোধাও ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- প্যারোলে ছাড়া পেয়ে চম্পট! মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী 'ডক্টর বম্ব' গ্রেফতার যোগীর রাজ্যে
নীতার মা মোহন কানওয়ার এদেশে চলে এসেছেন। তিনি নীতার মামার কাছে থাকেন। এক সাক্ষাত্কারে নীতা কানওয়ার জানিয়েছেন, ভারতীয় নাগরিকত্বের অধিকার পাওয়ার জন্য তিনি তিন বছর ধরে লড়ছেন। গত বছর সেপ্টেম্বরে নীতা টঙ্কের কালেক্টরের দফতর থেকে নাগরিকত্ব অধিকার পেয়েছেন। ৩৬ বছর বয়সী নীতা কানওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী সোনু দেবীকে ৩৬২ ভোটে হারিয়েছেন।