ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করা হবে না, স্পষ্ট জানালেন চিদাম্বরম
বিরোধী-শরিক সাঁড়াশি চাপের মুখেও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। উল্টে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সংস্কার মূলক সিদ্ধান্তগুলির পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে চিদাম্বরম বলেন, "ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে যা করণীয়, সরকার তাই করেছে"। সেইসঙ্গে, আগামী দিনে আরও বেশকিছু সংস্কার মূলক পদক্ষেপ সরকার নিতে চলেছে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মন্ত্রীর বক্তব্যে।
বিরোধী-শরিক সাঁড়াশি চাপের মুখেও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। উল্টে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সংস্কার মূলক সিদ্ধান্তগুলির পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে চিদাম্বরম বলেন, "ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে যা করণীয়, সরকার তাই করেছে"। সেইসঙ্গে, আগামী দিনে আরও বেশকিছু সংস্কার মূলক পদক্ষেপ সরকার নিতে চলেছে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে মন্ত্রীর বক্তব্যে।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় রাজনীতি বিষয়ক মন্ত্রিগোষ্ঠী ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৫ টাকা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেইসঙ্গে ভৃতুকি প্রাপ্ত রান্নার গ্যাসের সংখ্যা পরিবার পিছু ৬টিতে বেঁধে দেওয়া হয়। গত বছর জুলাই মাসেই ডিজেলের দাম ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। দফায় দফায় ডিজেলের দামবৃদ্ধির ফলে শরিক তৃণমূল ও ডিএমকের মতো দল গুলি সরাসরি কেন্দ্রের বিরোধিতায় রাস্তায় নামে। দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় তৃণমূল। দলের ঘনিষ্ট মহলের ধারণা, ১৮ তারিখ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তও নিতে পারে তৃণমূল। ফেসবুকে, শনিবারের মিছিলে কেন্দ্রের জনবিরোধী পদক্ষেপের চরম বিরধিতা করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন ইউপিএর বৃহত্তম শরিক দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঘরে বাইরে চাপের সামনে কোনও ভাবে মাথা নত করতে রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার। চিদাম্বরমের মন্তব্যে সেটা স্পষ্ট।
অন্যদিকে, তৃণমূলের `কঠোর` সিদ্ধান্ত গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে জোট জটিলতা কাটানোর রফাসূত্র খুঁজতে খোদ প্রধানমন্ত্রী সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করতে পারেন বলে রাজনৈতিক সূত্রে খবর। ফোনে মমতাকে ১৯ জন সাংসদ নিয়ে ইউপিএ সরকারের স্থায়িত্ব বজায় রাখার অনুরোধ জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছর কেন্দ্রের এফডিআই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জোট ছেড়ে বেড়িয়ে আসার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।
খুচরো ব্যবসা, অমামরিক বিমান পরিষেবা সহ তথ্য সম্প্রচার শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল। চিদাম্বরমের এদিনের মন্তব্য রীতিমত অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এই অবস্থায়, কেন্দ্রের ওপড় পাল্টা চাপ বাড়াতে তৃণমূলের সামনে তিনটি রাস্তাই খোলা রয়েছে। এমনটাই স্পষ্ট সুলতান আহমেদের বক্তব্যে, "ইউপিএ থেকে মন্ত্রীদের তুলে নেওয়া হতে পারে, সমর্থন প্রত্যাহারের পথে হাটতে পারে তৃণমূল কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আর তাঁদের দপ্তরে না যেতে পারেন"।
কিন্তু ঠিক কোন পথে হাঁটবে তৃণমূল সেটা নির্ভর করছে ১৮ তারিখের বৈঠকের ওপর। কেন্দ্রীয় ইউপিএ জোটের ভবিষ্যতও নির্ভর করছে তার ওপর। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ফোনে বরফ গলে কিনা তার দিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।