নাগরিকের 'হোয়াটস অ্যাপ' স্বাধীনতায় নাক গলাবে না কেন্দ্র
পর্নো সাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি থেকে পিছু হটার পর এবার সোশাল সাইটে নজরদারি নিয়েও পিছু হটল কেন্দ্র। চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, কোনওরকম সোশাল সাইটে নাক গলাবে না তারা। গতকালই ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসির খসড়া সামনে এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর সমালোচনার ঝড় ওঠে নানা মহলে।
ওয়েব ডেস্ক: পর্নো সাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি থেকে পিছু হটার পর এবার সোশাল সাইটে নজরদারি নিয়েও পিছু হটল কেন্দ্র। চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিল, কোনওরকম সোশাল সাইটে নাক গলাবে না তারা। গতকালই ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসির খসড়া সামনে এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর সমালোচনার ঝড় ওঠে নানা মহলে।
সোমবারই ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসির খসড়া আপলোড করেছিল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। খসড়ার মূল বিষয় ছিল-হোয়াটস অ্যাপ, হ্যাঙ আউট, স্ন্যাপ চ্যাট, ই মেল, আই মেসেজ হোক বা ই-কর্মাস সাইটে ক্রেতার নিজের সম্পর্কে দেওয়া তথ্যে নজরদারি চালাতে পারবে সরকার।
এই নীতি লাগু হলে হোয়াটস অ্যাপ, গুগল হ্যাংআউট বা অ্যাপলের ফোন থেকে মেসেজ পাঠানোর পর তিন মাস সেভ রাখার নির্দেশিকাও জারি হতো। নির্দিষ্ট সময়ের আগে মেসেজ ডিলিট করে দিলে আইনি ব্যবস্থা, এমনকি কারাদণ্ডের প্রস্তাবও ছিল খসড়ায়। প্রস্তাব ছিল, এই আইনের আওতায় আনা হবে সরকারি, বেসরকারি সব সংস্থাকেই। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে নজরদারি জরুরি বলে সাফাই দিয়েছিল কেন্দ্র।
খসড়া নীতি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। তারই ফলে এক পা এগিয়েও দু পা পিছিয়ে আসতে হয়েছে কেন্দ্রকে। তবে কেন্দ্রে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও ছাড় দিতে রাজি নন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন এমন একটা দিন আসবে যেদিন নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার অজুহাতে সরকার মানুষের ঘরেও উকিঝুকি দিতে চাইবে।
নেট নিরপেক্ষতা নিয়েও মুখ পুড়েছিল সরকারের। পর্নো সাইট নিষিদ্ধ করেও আবার তা তুলে নিতে হয়েছিল। ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি নিয়ে পিছু হঠে ফের সেই অস্বস্তির মধ্যেই পড়তে হল মোদী সরকারকে।