জাতীয় দলের মর্যাদা পাচ্ছে তৃণমূল, স্বীকৃতির বিষয়ে কমিশনের ফোনও নাকি এসে গিয়েছে
জাতীয় দলের মর্যাদা পাচ্ছে তৃণমূল। এমনই দাবি দলের নেতাদের। দলীয় সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশন ফোনে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। চিঠি আসা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি মুকুল রায়ের।
ওয়েব ডেস্ক: জাতীয় দলের মর্যাদা পাচ্ছে তৃণমূল। এমনই দাবি দলের নেতাদের। দলীয় সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশন ফোনে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে। চিঠি আসা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি মুকুল রায়ের।
আরও পড়ুন-লোকসভা বিপর্যয়ে জাতীয় দলের মর্যাদা হারাতে পারে সিপিআই, শরদ পাওয়ার ও মায়াবতীর দল
নির্বাচন কমিশনের মাপকাঠি অনুযায়ী এখন দেশে ছটি রাজনৈতিক দলের জাতীয় দলের মর্যাদা রয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, সিপিআই, বিএসপি এবং এনসিপি এখন জাতীয় দল।
বিধানসভা ভোটের পর জাতীয় দলের স্বীকৃতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রের দাবি, নির্বাচন কমিশন তাদের জাতীয় দলের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ফোনে জানিয়েছে। এ নিয়ে চিঠি পাঠাবে কমিশন।
কমিশনের স্বীকৃতি পেলে দেশের সপ্তম জাতীয় দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে তৃণমূল।
অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে লোকসভার ২% অর্থাত্ ১১টি লোকসভা আসনে জয়।
অথবা লোকসভা নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে ৪টি রাজ্য থেকে ৬% ভোট এবং ৪টি লোকসভা আসনে জয়। অথবা কমপক্ষে ৪টি রাজ্যে প্রাদেশিক দলের স্বীকৃতি।
জাতীয় দলের মর্যাদা পেতে হলে এখন তিনটি শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করতে হয়। তৃণমূলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মণিপুর এবং অরুণাচল প্রদেশে প্রাদেশিক দলের স্বীকৃতির ভিত্তিতে তাদের জাতীয় দলের মর্যাদা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে এ দিন মুকুল রায় বলেন, এটা তাঁদের দলের পক্ষে অত্যন্ত সুখবর। নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন এ বার তাঁদের লক্ষ্য ২০১৯।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথে উপস্থিত ছিলেন দেশের অ-বিজেপি নেতারা। সম্প্রতি তিনি দিল্লি ঘুরে এসেছেন। ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের ডাক দিয়েছেন। নানা মঞ্চে নানা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবারই তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের সংসদীয় দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। জাতীয় স্তরে অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে শক্তিশালী ফেডারাল ফ্রন্টের কথা বারবার বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিল্লির রাজনীতিতে তৃণমূলকে আরও সুবিধাজনক জায়গা করে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।