শিশুমৃত্যুর হার কমেছে তাঁর জমানায়, বিধানসভায় দাবি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের
গত মাস থেকে ধারাবাহিক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিহারে। এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে দেড়শোর বেশি শিশু মৃত্যু হয়েছে। মুজফ্ফরপুরেই সেই সংখ্যাটা শতাধিক
নিজস্ব প্রতিবেদন: শিশুমৃত্যু নিয়ে বিধানসভায় শেষমেশ মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দেড়শোর বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে স্বীকার করে নিলেও, তাঁর জমনায় মৃত্যুর হার কমেছে বলে দাবি নীতীশের। এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, “২৮ জুন পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, ৭২০ শিশু ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে যথাযথ চিকিত্সা পেয়ে সুস্থ হয়েছে ৫৮৬ শিশু। মৃত্যু হয়েছে ১৫৪ জনের।” ২১ শতাংশ মৃত্যু হার কমে বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।
গত মাস থেকে ধারাবাহিক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিহারে। এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে দেড়শোর বেশি শিশু মৃত্যু হয়েছে। মুজফ্ফরপুরেই সেই সংখ্যাটা শতাধিক। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, “এটি গুরুতর সমস্যা। এ বিষয়ে একাধিক মিটিং করা হয়েছে। এনসেফেলাইটিসের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা খোদ বিশেজ্ঞরা।” তবে, এই রোগের উত্স খুঁজতে বিশেষজ্ঞদের একটি দল তৈরি করার আশ্বাস দেন নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হাসপাতাল পরিদর্শনের আগে তালাবন্দি সাংবাদিকরা!
এ দিন নীতীশ কুমার মেনে নেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। পাশাপাশি, সচেতনতারও প্রয়োজন। নীতীশ কুমার বলেন, “পিআইসিইউ-তে বেড কম রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৪ থেকে ৬৬টি বেড বৃদ্ধি করতে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে, বিহারের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ওষুধ, পথ্য এবং স্বচ্ছতা বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তার খতিয়ান ৭ দিনের মধ্যে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নীতীশের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের অভিযোগ, বিহারে মহামারির আকার নিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে বলেন, যে মন্ত্রী ক্রিকেট স্কোর জানাতে বেশি উদ্বেগ শিশুমৃত্যুর চেয়ে। উল্লেখ্য, ওই ভিডিয়ো শিশুমৃত্যু নিয়ে বৈঠকের সময় ক্রিকেটের স্কোর জানতে চান মঙ্গল পাণ্ডে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও।