বেতন কমায় আত্মহত্যা মুম্বইতে, সারা দেশে চাকরি খোয়াতে পারেন এক কোটি কর্মী
সেন্টার ফর মনিটরিং দ্য ইন্ডিয়ান ইকনোমি (CMIE) জানাচ্ছে, করোনা পরবর্তী সময়ে সারা দেশে এক কোটি দশ লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন— কানাডা থেকে ফিরে মুম্বইতে একটি মাল্টিন্যাশনাল সংস্থায় চাকরি করছিলেন মণীশ লোডায়া নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু সারা দেশে করোনা থাবা বসানোয় সেই সংস্থা তাঁর বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সংস্থার এমন পদক্ষেপ মেনে নিতে পারেননি মণীশ। এর পরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। অশোক নগর এলাকার একটি ৩০ তলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন মণীশ। মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তাঁর। করোনার প্রকোপ কমাতে সারা দেশে এখন লকডাউন। থমকে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। এমন অবস্থায় বহু সংস্থা যে ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটবে তা আগেই জানা গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই বহু সংস্থা কর্মীদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।
সেন্টার ফর মনিটরিং দ্য ইন্ডিয়ান ইকনোমি (CMIE) জানাচ্ছে, করোনা পরবর্তী সময়ে সারা দেশে এক কোটি দশ লাখ কর্মী ছাঁটাই হতে পারেন। সারা দেশে ইতিমধ্যে বেকারত্বের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে তারা। নতুন করে আর কোনে কর্মসংস্থান হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলিতে কর্মরত কর্মীদের চাকরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্থা ছাঁটাইয়ের রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে বলেও খবর। এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছিল, লকডাউনের জেরে ভারতের বাজারে ১৩ কোটির বেশি চাকরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন— কীভাবে খোলা যেতে পারে মদের দোকান! দশটি রাজ্যকে 'আইডিয়া' দিল জাতীয় সংস্থা
করোনার প্রভাবে ইতিমধ্যে ধুঁকছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি। খুচরো ব্যবসায়ীদেরও আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। লকডাউন কবে নাগাদ সম্পূর্ণ উঠবে তা নিয়েও কোনও খবর জানা যাচ্ছে না। এর মধ্যে সারা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা যে শুধু প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে তা নয়, এই মারণ ভাইরাস কর্মনাশাও বটে!