তিনদিনে করোনায় আক্রান্ত তিনজন, মৃত এক! এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা
আক্রান্ত ব্যক্তির পুরো পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— ফের এশিয়ার সব থেকে বড় বস্তি থেকে মিলল আরও একজন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান। এবার করোনা থাবা পড়ল ৩৫ বছরের এক চিকিৎসকের উপর। এই নিয়ে পরপর তিনদিনে তিনজন আক্রান্ত হলেন মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তিতে। এশিয়ার সব থেকে বড় বস্তিতে তিনদিন আগে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫৬ বছরের একজন বৃদ্ধ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন ৩৫ বছরের একজন চিকিৎসক। ইতিমধ্যে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে ওই চিকিৎসককে।
আক্রান্ত ব্যক্তির পুরো পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বৃহনমুম্বই পৌরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, নিজের বাড়িতে স্বপরিবারে ওই চিকিৎসক থাকতেন। তাই আপতকালীন পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ সিল করা হয়েছে তাঁর বাড়িটি।
ধারাভির বিধায়ক ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী বর্ষা গাইকওয়াড় বলেছেন, "ধারাভির পুলিস ও পৌরকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। চিন্তার কারণ নেই। তবে লকডাউন মেনে চলুন।" ধারাভি বস্তির পরিসর ৬১৩ একর। সেখানেই গাদাগাদি করে বাস করেন প্রায় ১০ লক্ষের বেশি মানুষ। বস্তির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ একই শৌচালয় ব্যবহার করেন। এমন ঘনজনবসতিপূর্ণ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন— লকডাউনের জের! গরু খাচ্ছে স্ট্রবেরি, ব্রকোলি, আঙুর! মাথায় হাত চাষীদের
প্রশাসনের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, এই এলাকায় একবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলে তা রোধ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। একসঙ্গে এত মানুষ ধারাভিতে গায়ে গায়ে থাকেন। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও প্রবল। পর পর তিন দিনে তিন জন আক্রান্ত হওয়ার খবরে তাই ঘুম উড়েছে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের। মুম্বইতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩৫। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এমন পরিস্থিতিতে ধারাভির কাণ্ডে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রসঙ্গত ভারতে এই পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত ২০৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের।