বৃহত্তর সমঝোতার রাস্তা খুলে বাজেট অধিবেশনে মোদী বিরোধিতায় একজোটের হাওয়া সংসদে
আপাতত মোদী বিরোধিতায় একজোট হওয়া। আর এ পথেই ভবিষ্যতে বৃহত্তর সমঝোতার রাস্তা খুলে রাখা। সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই কৌশল নিয়েই এগোতে চাইছে বিরোধীরা। তাঁদের যৌথ রণনীতি চিন্তায় রাখছে সরকারকেও। বিরোধীদের বাধায় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অচল হয়ে গিয়েছিল রাজ্যসভা। বিল পাশ করাতে না পরে জমি অধিগ্রহণ এবং বিমায় বিদেশি বিনিয়োগে অর্ডিন্যান্স আনে সরকার। কয়লা বিলে দ্বিতীয়বার জারি করতে হয় অর্ডিন্যান্স। জমি, বিমা, কয়লা সহ আটটি অর্ডিন্যান্স বাজেট অধিবেশনে সরকারকে পাশ করাতে হবে। কিন্তু, বিরোধীরা মোদীকে সেই সুযোগ দিতে নারাজ। বাজেট অধিবেশনের গোড়া থেকেই এককাট্টা তারা।
ব্যুরো: আপাতত মোদী বিরোধিতায় একজোট হওয়া। আর এ পথেই ভবিষ্যতে বৃহত্তর সমঝোতার রাস্তা খুলে রাখা। সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই কৌশল নিয়েই এগোতে চাইছে বিরোধীরা। তাঁদের যৌথ রণনীতি চিন্তায় রাখছে সরকারকেও। বিরোধীদের বাধায় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে অচল হয়ে গিয়েছিল রাজ্যসভা। বিল পাশ করাতে না পরে জমি অধিগ্রহণ এবং বিমায় বিদেশি বিনিয়োগে অর্ডিন্যান্স আনে সরকার। কয়লা বিলে দ্বিতীয়বার জারি করতে হয় অর্ডিন্যান্স। জমি, বিমা, কয়লা সহ আটটি অর্ডিন্যান্স বাজেট অধিবেশনে সরকারকে পাশ করাতে হবে। কিন্তু, বিরোধীরা মোদীকে সেই সুযোগ দিতে নারাজ। বাজেট অধিবেশনের গোড়া থেকেই এককাট্টা তারা।
বাজেট অধিবেশনের আগে সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেস, তৃণমূল, সপা, বসপা, জেডিইউয়ের মতো দলগুলি জানিয়ে দিয়েছে তারা সকলেই অর্ডিন্যান্স রাজের বিরোধী। নীতীশ কুমারের শপথে জনতা পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তরুণ গগৈরা।
সব মিলিয়ে রাজ্যসভায় কক্ষ সমন্বয়ের মাধ্যমে মোদীকে আটকাতে একজোটে মাঠে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা।
বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে অর্ডিন্যান্স আটকে দিলে ফের সরকারের মুখ পুড়বে। আটকে যাবে আর্থিক সংস্কারের বিল। সংসদে সরকারকে নাকানি-চোবানি খাওয়াতে পারলে দুঃসময়ে অক্সিজেন পাবে বিরোধীরা। সংসদের অলিন্দে মোদী সরকারের পরাজয় সামনের বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে, প্রধানমন্ত্রীর কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। পরিস্থিতি সহজ করতে এখন জনসংযোগে জোর দিচ্ছেন মোদী। কখনও শরদ পওয়ারের খাসতালুক বারামতীতে গিয়ে মারাঠা স্ট্রংম্যানের প্রশংসা করছেন তিনি। কখনও আবার লালু-মুলায়মের মেয়ে-নাতির প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানে সব কাজ ফেলে চলে যাচ্ছেন সাইফাই।
লোকসভা ভোটে মোদী ঝড়ের পর দিশাহারা বিরোধীরা। দিল্লি একটু আশা দেখালেও রাজধানীর বাইরে ঝাড়ুর চিহ্ন নেই। এই অবস্থায় মোদী বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে কাছাকাছি আসছেন বিরোধীরা। এক হচ্ছে জনতা পরিবার। বিজেপি বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে চেষ্টা করছে বাম-তৃণমূলও। নিজেদের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্কের অভাব না থাকলেও আপাতত মোদীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে পরে বৃহত্তর সমঝোতার পথে এগোনোই এখন বিরোধীদের কৌশল। বাজেট অধিবেশনেই এ সবের একপ্রস্থ মহড়া সেরে নিতে চাইছে তারা। ফলে, গরমের শুরুতেই আগামী ক-দিন সংসদের হাওয়া গরম থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ট।