সার্জিকাল স্ট্রাইকে কোণঠাসা পাকিস্তান
ওয়েব ডেস্ক: সার্জিকাল স্ট্রাইকে কোণঠাসা পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সরানো হল জঙ্গি শিবির। পঞ্চাশটিরও বেশি শিবির সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কুমিরডাঙা খেলার দিন শেষ। হামলা চালিয়ে আর পার পাওয়া যাবে না। বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত।
মুজফফরাবাদ ও লাহোরের মাঝে প্রায় এরকমই প্রায় একশো ষাটটি ঘাঁটিতে জঙ্গি তৈরি করে পাকিস্তান। হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর ই তইবা, জইশ ই মহম্মদ, হুজি, আল বদর জঙ্গিরা সেখানে প্রশিক্ষণ নেয়। প্রত্যেক ঘাঁটিতে ৪৫ থেকে ৫০জন জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়। তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশ দিন ধরে চলে প্রত্যেকটি দলের প্রশিক্ষণ । তারপর নিয়ন্ত্রণরেখার কাছের জঙ্গিঘাঁটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাদের।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সাতটি লঞ্চিং প্যাড গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মারা পড়েছে পঞ্চাশেরও বেশি জঙ্গি। মার খেয়ে কৌশল বদল করেছে পাকিস্তান। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছ থেকে ৫০টিরও বেশি জঙ্গি শিবির সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মুজফফরাবাদের মানসেরার জঙ্গি শিবিরটিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সেনাসূত্রে খবর, মুম্বইয়ের জঙ্গিহানায় মনসেরা ক্যাম্পটির বড় ভূমিকা রয়েছে। বৃহস্পতিবারের হামলার পর প্রায় তিনশোজন জঙ্গিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তান কি পিছু হঠল? ভারতীয় সেনা উত্ফুল্ল। কিন্তু, সামরিক বিশেষজ্ঞরা এখনই নিশ্চিত হতে নারাজ।
ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াতেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক অস্তিত্ব টিকে রয়েছে। মার খেয়ে পাকিস্তান সন্ত্রাস রফতানি বন্ধ করে দেবে এমনটা আশা করা দিবাস্বপ্ন। তাহলে কেন শিবির সরাল পাকিস্তান? সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এও ছায়াযুদ্ধে এক কৌশল। জঙ্গি শিবিরগুলি হিসেব করেই ভারতের নাগালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এরপর জঙ্গি হামলা হলে ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে সহজে যাতে প্রত্যাঘাত করতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা।
তবে এই রণনীতিতেও ভারতের খুশি হওয়ার যথেষ্ট রসদ রয়েছে। গোড়া থেকেই সার্জিকাল স্ট্রাইকের কথা অস্বীকার করছে পাকিস্তান। কিন্তু শিবির সরানোতেই পরিষ্কার, ভারতকে ভয় করছে তারা। তবে হাফিজ সঈদের মতো জঙ্গিনেতারা এখনও রয়ে গেছে নাগালের বাইরে। তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে ভাবতে হবে ভারতকে।