ধরা পড়ার পরেও দূতাবাস কর্মীর মাধ্যমে ভারতে চরবৃত্তির অভিযোগ অস্বীকার পাকিস্তানের
সলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের এক আধিকারিককে ডেকে পাঠান হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে চরবৃত্তি অভিযোগে পাকিস্তান দূতাবাসের ২ কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে সরকার। তবে, সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করল ইসলামাবাদ। ভারতীয় গোয়েন্দাদের অভিযোগ 'মিথ্যা ও ভিত্তিহীন' বলে দাবি পাকিস্তানের।
গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তান দূতাবাসের ২ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির খবর পান ভারতীয় গোয়েন্দারা। মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স, আইবি এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ তদন্তে হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই দুই কর্মী। গোয়েন্দাদের পাতা ফাঁদে পা দেয় আবিদ হোসেন এবং মোহাম্মদ তাহির নামের ২ দূতাবাস কর্মী। সূত্রের খবর, সীমান্তে ভারতীয় সেনার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে গোপন খবর দেওয়া হবে বলে ফাঁদ পাতেন গোয়েন্দারা।
অর্থের বিনিময়ে তথ্য লেনদেন করা হবে, এমনটাই জানিয়ে তাদের ডেকে পাঠায় ছদ্মবেশে ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেই ফাঁদে পা দিয়ে দেখা করতে আসে তারা। সেই সময় ওই দুই ব্যক্তি এবং এক গাড়ি চালককে আটক করে দিল্লি পুলিশ।
পাকিস্তানের দূতাবাসের ওই দুই কর্মীকে আটকের পরপরই ইসলামাবাদে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের এক আধিকারিককে ডেকে পাঠান হয়। ভারতের অভিযোগ 'ভিত্তিহীন' বলে দাবি করে ইসলামাবাদ।
ভারতে পাকিস্তানের দূতাবাসের কর্মীর চরবৃত্তি ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালে পাকিস্তান দূতাবাসের এক ভিসা অফিসারের বিরুদ্ধে ভারতে চরবৃত্তির অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন : 'ঘুরে দাঁড়াবেই দেশ!' এক হাতে করোনা অন্য হাতে অর্থনীতি, লড়ার মন্ত্র মোদীর