নৌসেনার ঘাঁটিতে হামলার ছক পাক সেনার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিদের
গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারে কেল, আটমুকাম, দুধনিহাল ও লিপা উপত্যকায় অপেক্ষা করছে সন্ত্রাসবাদীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঠানকোটের মতো ভারতীয় নৌসেনার ঘাঁটিতে হামলার ছক কষেছে লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদ। এমনটাই আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। জলের নীচ দিয়ে হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ পেয়েছে জঙ্গিরা। পাকিস্তানের নৌঘাঁটিতে জইশের সন্ত্রাসবাদীদের এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে পাক সেনা।
গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, লাইন অব কন্ট্রোলের ওপারে কেল, আটমুকাম, দুধনিহাল ও লিপা উপত্যকায় অপেক্ষা করছে সন্ত্রাসবাদীরা। সুযোগ পেলেই সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করবে তারা। লস্কর ও জইশকে ভারতীয় সেনার উপরে হামলার জন্য চাপ দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বাহাবালপুরে পাক নৌঘাঁটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জঙ্গিদের। কীভাবে জলের তলা দিয়ে হামলা চালানো হয়, সেই প্রশিক্ষণ পেয়েছে জঙ্গিরা। জলের তলায় ব্যবহার করা যায়, এমন অত্যাধুনিক অস্ত্রও রয়েছে তাদের হাতে। সেনাবাহিনীর কায়দায় অস্ত্রচালনায় প্রশিক্ষিত তারা। এই প্রশিক্ষিত জঙ্গিবাহিনীকেই ভারতে পাঠানোর ছক কষেছে আইএসআই।
গোয়েন্দা রিপোর্ট আসার পরই সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অমরনাথ যাত্রায় হামলার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই উপত্যকায় কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সিআরপিএফ, সেনার সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কম্যান্ডোদেরও।
গত মাসেই নয়াদিল্লিতে ইসলামিক স্টেটের হামলা রুখে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ধরা পড়েছে আফগান আত্মঘাতী জঙ্গি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৬ জানুয়ারি পাঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাক জঙ্গিরা। শহিদ হন ৭ জওয়ান। ওই একইভাবে ভারতের নৌঘাঁটিতে হামলা চালাতে চাইছে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন- 'অলআউট অভিযানে' ৬ মাসে খতম ১০০ জঙ্গি, শহিদ ৪৩ জওয়ান