কংগ্রেসে চাই ‘তাজা রক্ত’, রাহুলের বিকল্প খুঁজতে বার্তা ক্যাপ্টেনের
কংগ্রেস সূত্রে খবর, সভাপতি পদে সুশীল কুমার শিন্ডে এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসছে। দু’জনের বয়ঃক্রম যথাক্রমে ৭৭ ও ৭৬। শিন্ডে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন? এ নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। রাহুল গান্ধীর ‘বিকল্প’ খুঁজতে দলের অন্দরেই দ্বিধাবিভক্ত শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের একাংশ চাইছেন, অভিজ্ঞ এবং পোড় খাওয়া নেতার হাতেই সভাপতির রাশ থাকুক। আবার কেউ কেউ চাইছেন, রাহুল গান্ধীর দেখানো পথেই এগোনো উচিত। অর্থাত্ সভাপতি পদে তরুণ মুখ আনা উচিত। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের নেতা অমরিন্দর সিং আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘কংগ্রেসে তাজা রক্ত চাই। তাঁর ক্যারিশ্মায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তো বটেই, তৃণমূল স্তরের কর্মীরাও উদ্বুদ্ধ হবেন।’
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং টুইটে জানান, রাহুলের ইস্তফা দুর্ভাগ্যজনক। রাহুলের মতোই এমন কেউ তরুণ সভাপতি হোন, তিনি কংগ্রেসকে নতুন দিশা দেখাতে পারে। কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে তাঁর পরামর্শ, তরুণ মুখই দলের গতি আনতে পারে। দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ ৩৫ বছরের নীচে। তাঁদের মূল স্রোতে ফেরাতে তরুণ মুখের প্রয়োজন বলে মনে করেন বলে দাবি অমরিন্দরের।
আরও পড়ুন- মাছের দোকানে দর কষাকষি করছে দাঁড়কাক, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
কংগ্রেস সূত্রে খবর, সভাপতি পদে সুশীল কুমার শিন্ডে এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম উঠে আসছে। দু’জনের বয়ঃক্রম যথাক্রমে ৭৭ ও ৭৬। শিন্ডে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০২ সালে দলের সহ সভাপতি পদে নমিনি ছিলেন তিনি। উল্টোদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গেও কংগ্রেসের পোড়খাওড়া নেতা। দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ ছিলেন তিনি। এবারের লোকসভায় কর্নাটকের গুলবার্গ কেন্দ্র থেকে বিজেপির উমেশ জি যাদবের কাছে প্রায় এক লক্ষ ভোটে পরাজিত হন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪২টির মধ্যে মাত্র ৫২টি আসন পায় কংগ্রেস। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেও ভারডুবি ফল হয় তাদের। শোচনীয় হারের দায় নিজের কাঁধে নেন রাহুল গান্ধী। তবে, ইস্তফাপত্রে, শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনৈতিক সক্রিয়তা, পরিবারতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, মাঝেমধ্যে তাঁর মনে হয়েছে নির্বাচনে তিনি যেন একাই লড়ছেন। পরিবারতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসার বার্তা দিতে সভাপতি পদ থেকে রাহুল সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।