৬০ বছর পূর্তিতে বিশেষ অধিবেশন সংসদে

ভারতীয় সংসদের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রবিবার বসেছে বিশেষ অধিবেশন। সংসদের উভয়কক্ষেই অধিবেশন হয়। সকাল ১১টায় লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে অধিবেশন। প্রথম লোকসভার জীবিত দুই সদস্য রিসাং কেইসিং ও রিসাম লাল জাংদে-কে সংবর্ধিত করা হয়।

Updated By: May 13, 2012, 04:53 PM IST

ভারতীয় সংসদের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রবিবার বসেছে বিশেষ অধিবেশন। সংসদের উভয়কক্ষেই অধিবেশন হয়। সকাল ১১টায় লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে অধিবেশন। প্রথম লোকসভার জীবিত দুই সদস্য রিসাং কেইসিং ও রিসাম লাল জাংদে-কে সংবর্ধিত করা হয়।
আজকের বিশেষ অধিবেশনে সংসদে আলোচনা চলাকালীন বারবার ব্যাঘাত ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন শাসক ও বিরোধী দলের সাংসদরা।
রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্যে সংসদের মর্যাদা ও রীতিনীতি মেনে চলার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "৬০ বছর পূর্তির এই ঐতিহাসিক দিনের অধিবেশনে আমার আশা প্রত্যেক সদস্যের সংসদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করার এবং সংসদীয় রীতিনীতি মেনে চলার নতুন অধ্যায় রচিত হবে।"
আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর জোর দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন অধিবেশনের আলোচনা চলাকালীন ব্যাঘাত ঘটলে মুষ্ঠিমেয় কিছু সদস্যের উত্তেজিত চেঁচামেচিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত চাপা পরে যায়। দল-মত-ব্যক্তি নির্বিশেষে অনেকেই যে একাজ করে থাকেন সে কথাও স্বীকার করেন তিনি। এই অভ্যেস কাটিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমেই অধিবেশন চালনার উপর জোর দেন তিনি।

বিরুদ্ধ মতকে সম্মান জানানোর কথা বলেন বিজেপি সাংসদ লালকৃষ্ণ আডবাণী। তিনি বলেন, "ভারতে গণতন্ত্রের প্রধান শক্তি ভিন্ন মতের প্রতি সম্মান। সংসদই এর সবথেকে বড় উদাহরণ।" একমাত্র বিতর্কের মাধ্যমেই সংসদে উত্থাপিত সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও জানান তিনি।
বিগত দু`দশকে কোনও বছরই ১০০ দিন অধিবেশন বসেনি। গণতন্ত্রের পক্ষে তা যথেষ্ট বিপদজনক বলে মনে করেন সিপিআইএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি। বছরে অন্তত একশো দিন যাতে সংসদের অধিবেশন বসতে পারে সেজন্য সংবিধান সংশোধনের দাবি জানান তিনি।
সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল হলে সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল। এই সভায় উপস্থিত থাকবেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার অধ্যক্ষ মীরা কুমার এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সংসদের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৫ টাকা এবং ১০ টাকার স্মারক মুদ্রা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি।

.