শুধু করোনা নয়, বিদেশ ফেরত ভারতীয়রা আরও আটরকম ভাইরাস নিয়ে ফিরেছেন

বিদেশ থেকে দেশে ফেরা মোট ৩৬২ জনের স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৮৪ জনের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। 

Updated By: May 27, 2020, 03:59 PM IST
শুধু করোনা নয়, বিদেশ ফেরত ভারতীয়রা আরও আটরকম ভাইরাস নিয়ে ফিরেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদন— শুধু করোনায় রক্ষে নেই। আরও আটরকম ভাইরাস! হ্যাঁ, ভয় পাওয়ার মতোই তথ্য বটে! ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেছেন, বিদেশফেরত ভারতীয়রা শরীরে করোনা ছাড়া আরও আটরকম ভাইরাস নিয়ে ফিরেছেন। রীতিমতো গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা এমন তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা সরকারের কাছে আপিল করেছেন, করোনা ছাড়া ওই আটরকম ভাইরাস যাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেই জন্যও যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়! ওই আটরকম ভাইরাসের স্ক্রিনিং করানোর জন্যও এবার সরকার ভাবতে শুরু করেছে। কেরল ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির একদল গবেষক দাবি করেছেন, মোট আটরকম ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বিদেশফেরত অনেকের শরীরে।

বিদেশ থেকে দেশে ফেরা মোট ৩৬২ জনের স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৮৪ জনের শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। চারজনের মধ্যে সার্স করোনাভাইরাসের জীবাণু রয়েছে। তবে বাকিদের মধ্যে আরও আটরকম ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। এই আটটি ভাইরাস শ্বাসযন্ত্রে হানা দেয়। ফলে চিন্তার কারণ রয়েছে। এই আটটি ভাইরাসের মধ্যে কয়েকটি এর আগেই ভারতে ঢুকেছে। তবে কয়েকটি ভাইরাস এই প্রথম দেশে সংক্রমণ ছড়াবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ২২ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে ফেরা কয়েকজনের স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল। ৮৪ জনের শরীরে এক বা একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন— পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার-পরিবহণের ব্যবস্থা বিনামূল্যে করতে হবে, রাজ্য সরকারগুলি ও কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

যে আটটি ভাইরাস বিদেশফেরত ভারতীয়দের শরীরে রয়েছে সেগুলি হল— ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, মানব করোনাভাইরাস, রাইনো ভাইরাস, এডিনো ভাইরাস, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা, আরএসবি, মেটানিমো। মানব করোনাভাইরাস মানে অবশ্য কোভিড—১৯ নয়। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত সাতরকম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এটি তার মধ্যে একটি। ২১ জনের শরীরে মানব করোনাভাইরাস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১০ জন আক্রান্ত প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জায়। ছজন আরএসবি—তে। মেটানিমোয় দুজন। ১৫ জন রাইনো ভাইরাসে। চারজন এডিনো ভাইরাসে। সাতজন ইনফ্লুয়েঞ্জা বি—তে। ২৫ জন ইনফ্লুয়েঞ্জা এ—তে। 

.