কর্ণাটক নির্বাচনের জন্যই কি তোলের দাম স্থবির?
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পেট্রল-ডিজেলের দামের সঙ্গতি রাখতে রোজই তেলের দাম ঠিক করার নীতি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। এমনটাই হয়ে আসছে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পেট্রল-ডিজেলের দামের সঙ্গতি রাখতে রোজই তেলের দাম ঠিক করার নীতি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। এমনটাই হয়ে আসছে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো ছবি।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ২ সপ্তাহ আগে রাষ্ট্রয়াত্ত তেল কোম্পানিগুলি দৈনিক তেলের দাম নির্ধারণ করা বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে এরমধ্যে তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলপিছু ২ ডলার, এমনটাই দাবি জি নিউজের।
আরও পড়ুন-বামফ্রন্ট সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র প্রয়াত
গত ২৪ এপ্রিল থেকে আর রোজ তেলের দাম ঠিক করা হচ্ছে না। যদিও তেলের দাম ৫৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়ার পরও কেন্দ্র শুল্ক কমিয়ে তেলের দাম কম করার প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। সরকার ঠিক করেছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে পেট্রল-ডিজেলের দামও বাড়বে। পাশাপাশি, ডলারের সঙ্গে রুপির বিনিময় মূল্য ওঠাপড়ার উপরেও তেলের দাম নির্ভর করে।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে আলিঙ্গন করার 'অপরাধে' মহানগরীর বুকে হেনস্থা তরুণ-তরুণীর
এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপিছু ৭৮.৮৪ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০.৫৬ ডলার। অর্থাৎ ব্যারেল প্রতি ২ ডলার বাড়ার পরও পেট্রলের দাম ৭৪.৬৩ টাকা থেকে বাড়ানো হয়নি ভারতে।
অন্যদিকে, ২৪ এপ্রিলের পর ডিজেলের দামও ব্যারেল প্রতি বেড়েছে প্রায় ২ ডলার। টাকার দামও ডলারের তুলনায় কমেছে খানিকটা। কিন্তু, তার পরেও ডিজেলের দাম বদল করা হয়নি। এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও কথাই বলতে চাইছেন না রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির অধিকারিকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জি নিউজকে জানিয়েছেন, তেলের দাম নিয়ে কোনও কথা বলতে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। ফলে, রাজনৈতিকভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ কর্ণাটক নির্বাচনের আগে তেলের দাম বাড়িয়ে বিজেপি আর 'বিপদ বাড়াতে' চাইছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।