২০ হাজার কোটি মুদ্রা ব্যাঙ্কে ১২ কোটি কর্মসংস্থান হবে, দাবি মোদীর

স্বল্প সঞ্চয়ে চালু হল মুদ্রা ব্যাঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে সারা দেশব্যাপীই শুরু হতে চলেছে এই মুদ্রা ব্যাঙ্ক, যেখানে যেকোনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা জমা রাখতে পারবেন। সারা দেশ জুড়ে ২০ হাজার কোটী মুদ্রা ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটল আজ।

Updated By: Apr 8, 2015, 01:43 PM IST
২০ হাজার কোটি মুদ্রা ব্যাঙ্কে ১২ কোটি কর্মসংস্থান হবে, দাবি মোদীর

নিউ দিল্লি: স্বল্প সঞ্চয়ে চালু হল মুদ্রা ব্যাঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে সারা দেশব্যাপীই শুরু হতে চলেছে এই মুদ্রা ব্যাঙ্ক, যেখানে যেকোনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা জমা রাখতে পারবেন। সারা দেশ জুড়ে ২০ হাজার কোটী মুদ্রা ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটল আজ।

তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারতে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। মূলত ভারী শিল্প থেকেই কর্মসংস্থান হয় ভারতীয়দের। ভারতের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছে ভারী শিল্প থেকেই। বেকার সমস্যা মেটাতে এই মুদ্রা ব্যাঙ্ক কার্যকারী ভূমিকা নেবে বলেই মত প্রধানমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে এই ২০ হাজার কোটি মুদ্রা ব্যাঙ্ক ১২ কোটি মানুষের কাছে কাজের দরজা খুলে দিতে পারবে। শুধু বেকার সমস্যা নয়, মুদ্রা ব্যাঙ্ক স্বল্প সঞ্চয় ও ছোট পুজির ব্যবসায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে বলে মত কেন্দ্রের। দেশের প্রায় ৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুদ্রা ব্যাঙ্ক থকে উপকৃত হতে পারবেন। এর সঙ্গেই স্বল্প সঞ্চয়ে মুদ্রা ব্যাঙ্ক দেশের আর্থিক সঞ্চয়েও অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৫ সালের আর্থিক বাজেটেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি প্রথম মুদ্রা ব্যাঙ্ক নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেইমত এপ্রিল মাসেই তার বাস্তবায়ন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

মুদ্রা ব্যাঙ্কের পরিষেবা গুলির বিভিন্ন রকম নাম দেওয়া হয়েছে।  প্রয়োজন মত শিশু, কিশোর, তরুণ-এই সুবিধাগুলি নিতে পারবেন ভারতীয়রা।  শিশু স্কিমে একজন সঞ্চয়কারি সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা জমা রাখতে পারবেন। ৫০ হাজারের বেশি, সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা রাখা যাবে কিশোর-এ।   "তরুণ'-এর ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন যেকোনো সঞ্চয়কারি। মুদ্রা ব্যাঙ্কের সমস্ত পরিষেবা আপাতত SIDBI  আওতাভুক্ত ব্যাঙ্ক গুলিতে পাওয়া যাবে। পরবর্তিতে রাজ্য ও আঞ্চলিক স্তরেও এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।

মুদ্রা ব্যাঙ্ক থেকে উপকৃত হতে পারেন স্বল্প সঞ্চয়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ছোট্ট দোকান মালিক, ফল ও সব্জি বিক্রেতা, সেলুন মালিক-কর্মচারি, ট্রাক চালক, হকার, শহর ও গ্রাম অঞ্চলের শ্রমিক, কারিগররা। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, "মূলত যুব সম্প্রদায়ের বিশেষত সিক্ষিত ও দক্ষ কারিগরের উদ্দেশ্যেই মুদ্রা ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। এবং মহিলারাও এই মুদ্রা ব্যাঙ্ক থেকে সাহায্য পাবেন। "       

           

.