বুঝুন কাণ্ড! নিজা়মের সোনার টিফিনবক্সে প্রতিদিন খাবার খেত চোরেরা

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জাদুঘরের বাইরে দাঁড় করানো মোটরবাইকে চড়ে পালায় ওই দুই চোর। যার মধ্যে একজনকে দেখা গিয়েছে ফোনে কথা বলতে। সেই সূত্র ধরে এগোতে থাকে পুলিস। তাদের ফোন ট্র্যাক করতে ২২ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়

Updated By: Sep 11, 2018, 03:10 PM IST
বুঝুন কাণ্ড! নিজা়মের সোনার টিফিনবক্সে প্রতিদিন খাবার খেত চোরেরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজামের সোনার টিফিন বক্স চুরি বলে কথা! তাই চুরির মধ্যে টুইস্ট থাকবে না, হয় না-কি! তদন্তে নেমে চোরের বুদ্ধি দেখে তাক্ লেগে গিয়েছে পুলিসের। যদিও শেষমেশ দুই চোর-সহ খোয়া যাওয়া নিজামের সব সমাগ্রীই উদ্ধার করেছে হায়দরাবাদ পুলিস।

গত ২ সেপ্টেম্বর হায়দরাবাদের পুরানি হাভেলির সংগ্রহশালা থেকে নিজা়মদের ব্যবহৃত সোনার টিফিন বক্স, বহুমূল্যের রত্নখচিত কাপ-প্লেট, সোনার চামচ-সহ বেশ কিছু সামগ্রী চুরি যায়। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, ভেন্টিলেশন ভেঙে দুই চোর ওই সংগ্রহশালার ভিতর ঢোকে। সংগ্রহশালার চারদিকে ছড়ানো মোট ৩২টি গোপন ক্যামেরা রয়েছে। ১৮টি বেরনোর পথ রয়েছে। কীভাবে নিরাপত্তার নজরদারি এড়িয়ে এত সহজেই চোরেরা হাত সাফাই করতে পারল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে পুলিস জানিয়েছে, এর আগে পর্যটক সেজে রেকি করে যায় তারা।

আরও পড়ুন- বেহাল টাকার হাল ধরুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আর্জি কেন্দ্রের

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জাদুঘরের বাইরে দাঁড় করানো মোটরবাইকে চড়ে পালায় ওই দুই চোর। যার মধ্যে একজনকে দেখা গিয়েছে ফোনে কথা বলতে। সেই সূত্র ধরে এগোতে থাকে পুলিস। তাদের ফোন ট্র্যাক করতে ২২ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়। ৩০০টি টাওয়ারের সব ডেটা খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু শেষমেশ পুলিস জানতে পারে, চোরেরা যে ফোনে কথা বলছিল, তাতে কোনও সিম-ই ছিল না। পুলিসের চোখে ধুলো দিতেই এমন ফরমুলা খাটিয়েছিল তারা। যদিও পুলিসও হার মানতে রাজি নয়। বাইকের খোঁজ শুরু করে পুলিস। জানতে পারে, হায়দরাবাদ থেকে সোজা মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়েছে ওই দুই চোর।

আরও পড়ুন- পাপা আমাকে ছ্যাকা দিয়েছে জানো? হায়দরাবাদে ছোট্ট শিশুর কথা শুনে চোখে জল উদ্ধারকারীদেরও

পুলিস জানিয়েছে, মুম্বইয়ের একটি নামজাদা হোটেলে ওঠে তারা। এমনকি নিজামের সোনার টিফিন বক্সে নিয়মিত খাবার খেয়েছে ওই দুই চোর। দুই জনের মধ্যে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা চলছে। পুলিসের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড। উল্লেখ্য, তিন কৌটের সোনার টিফিনবক্সটির ওজন প্রায় ৪ কিলোগ্রাম। দুবাইয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকায় বেচতে পারত তারা। নিজা়ম জাদুঘরে ছোটো বড় সামগ্রী নিয়ে মোট ৪৫০টি বহুমূল্যের জিনিস রয়েছে। এই সামগ্রী ষষ্ঠ নিজাম মির মেহবুব আলি খাঁ আমল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই বহু মূল্যের সামগ্রী শেষ ব্যবহার করেন হায়দরাবাদের নিজা়ম মির ওসমান আলি খাঁ, সপ্তম আসফ জাহ।

.