বামেদের নবান্ন অভিযানে মহিলাদের উপর পুলিসের লাঠি, রাজ্যের কাছে জবাবদিহি চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
বামেদের নবান্ন অভিযানে মহিলা বিক্ষোভকারীদের ওপর কেন লাঠি চালাল পুলিস? রাজ্যের কাছে জবাব তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য সরকার, নগরপাল, মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ১৫দিনের মধ্যে নোটিসের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতার রাজপথ।
ব্যুরো: বামেদের নবান্ন অভিযানে মহিলা বিক্ষোভকারীদের ওপর কেন লাঠি চালাল পুলিস? রাজ্যের কাছে জবাব তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য সরকার, নগরপাল, মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ১৫দিনের মধ্যে নোটিসের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতার রাজপথ।
বাম কর্মী সমর্থকদের ঠেকাতে মারমুখী হয়ে ওঠে পুলিস।
আইনের রক্ষকদের হাত থেকে রেহাই পাননি মহিলারাও।
পুলিসের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল বাম সংগঠনগুলি। দোসরা সেপ্টেম্বর এনিয়ে জাতীয় মানবিধকার কমিশনের কাছে নালিশ জানায় অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন সহ একাধিক মহিলা সংগঠন। তারই ভিত্তিতে এবার রাজ্যের কাছে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানাধিকার কমিশন।
কমিশনের প্রশ্ন, কেন নবান্ন অভিযানের সময় মহিলাদের ওপর লাঠিচার্জ করলেন পুরুষ পুলিসকর্মীরা?
কেন তাদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, টিয়ার গ্যাস, জলকামান?
ওই দিন কেন রাখা হয়নি মহিলা পুলিসকর্মী?
নোটিসে কমিশনের আরও পর্যবেক্ষণ, মহিলা সংগঠনগুলির দায়ের করা অভিযোগ সত্যি হলে মহিলা বিক্ষোভকারীদের মানবাধিকার ভঙ্গ করা হয়েছে।
মহিলারা শান্তিপূর্ণভাবে বসে থাকার সময় পুলিস তাদের আক্রমণ করে থাকলে তা সংবিধানের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের সামিল।
১৫ দিনের মধ্যে সরকার,নগরপাল, রাজ্য পুলিসের ডিজি ও মুখ্যসচিবকে রিপোর্টের জবাব দিতে হবে। তবে, এরআগেও একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্যকে নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ে যার উত্তর দেয়নি রাজ্য। এবারও কী অতীতের পুনরাবৃত্তি হবে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।