প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর বইতে কংগ্রেসের হারের জন্য দায়ী করেছেন সোনিয়া ও মনমোহনকে

২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেটি না হওয়ায় মনে আঘাত পেয়েছিলেন।

Updated By: Dec 12, 2020, 09:14 AM IST
প্রণব মুখোপাধ্যায় তাঁর বইতে কংগ্রেসের হারের জন্য দায়ী করেছেন সোনিয়া ও মনমোহনকে

নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়ার মুহূর্তে প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বই লিখবেন। বই লিখে নিজের অবসর জীবন কাটানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামেন। মৃত্যুর আগেই বই লেখার কাজ শেষ করে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রকাশ পায়নি। মৃত্যুর চার মাস পরে প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর লেখা শেষ বই ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ারস’। বই আকারে প্রকাশ হওয়ার আগেই প্রণবের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের কিছু অংশ সামনে এসেছে। যেখানে স্পষ্ট করে তিনি জানিয়েছেন,  ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ক‌ংগ্রেসের এহেন দশার জন্য দায়ী ছিলেন দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ 

বছর শুরুতেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে। একটুও ইতস্তত বোধ না করে  খোলাখুলিভাবে ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে ইউপিএ জোটের পর যে জয়ের মুখ দেখেছিল তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন তিনি।  বইয়ের যে টুকু অংশ প্রকাশ্যে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে, ‘কংগ্রেসের অনেকেই মনে করেন, ২০০৪ সালে জয়ের পরে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের ভরাডুবি হত না। কিন্তু  এই ধারণার সঙ্গে আমি একমত হতে পারি না। তবে আমি মনে করি ২০১২ সালে আমি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে কংগ্রেসের রাজনৈতিক লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিল। সনিয়া দলের বিষয়গুলি পরিচালনা করতে পারছিলেন না। সংসদে মনমোহনের দীর্ঘ অনুপস্থিতির ফলে সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল’।

সাংসদে মনমোহনের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর তুলনা করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।  ‘প্রধানমন্ত্রীর উপরেই সরকারের নৈতিক কর্তৃত্ব, জাতির অবস্থা এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নির্ভরশীল। মনমোহন ব্যস্ত ছিলেন জোট রক্ষায়। প্রশাসনে তার প্রভাব পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদে মোদী অনেকটাই স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলেছেন। ফলে আইনসভা এবং বিচারবিভাগের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয়েছে’।

প্রণব মুখোপাধ্যায় লিখেছেন,  ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেটি না হওয়ায় মনে আঘাত পেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের আন্তরিকতা সেই দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছিল। 

.