টাকা আর পেশী শক্তির নিরিখে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন কেজরিওয়াল: প্রশান্ত ভূষণ

রাজধানীতে নির্বাচনের আগেই দলীয় কাজিয়ায় বিপর্যস্ত আম আদমি পার্টি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীপদ দখল করার জন্য কি মরিয়া হয়ে উঠেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল? দলের আসন সংখ্যা ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে দিতে মতাদর্শচ্যুত হচ্ছেন আপ প্রধান। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন আম আদমি পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শান্তি ভূষণ। তাঁর মতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পরে কেজরিওয়ালের আপ প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।

Updated By: Jan 24, 2015, 09:04 PM IST
টাকা আর পেশী শক্তির নিরিখে প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন কেজরিওয়াল: প্রশান্ত ভূষণ

নয়া দিল্লি: রাজধানীতে নির্বাচনের আগেই দলীয় কাজিয়ায় বিপর্যস্ত আম আদমি পার্টি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীপদ দখল করার জন্য কি মরিয়া হয়ে উঠেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল? দলের আসন সংখ্যা ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে দিতে মতাদর্শচ্যুত হচ্ছেন আপ প্রধান। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন আম আদমি পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শান্তি ভূষণ। তাঁর মতে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পরে কেজরিওয়ালের আপ প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।

শান্তি ভূষণের পুত্র আপ-এর জাতীয় নির্বাহী সদস্য প্রশান্ত ভূষণের সঙ্গেও মতবিরোধ তৈরি হয়েছে কেজরিওয়ালের। তিনি আপ-এর লোকপাল, অ্যাডমিরল (অবসরপ্রাপ্ত) লক্ষ্মীনারায়ণ রামদাসের কাছে ১২জনের নামের একটি তালিকা পেশ করেছেন। এই ১২জন এই বার আপের হয়ে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এঁদের প্রত্যেকের নামেই কোনও না কোনও অভিযোগ রয়েছে। প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেছেন, এই ১২ জনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি হলে এঁদের যেন দল থেকে বের করে দেওয়া হয়।  

প্রশান্ত ভূষণ বলেছেন ''যে ভাবে এবং যাঁদের এবারে নির্বাচনে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়েছে তার মধ্যে বহু গড়বড় রয়েছে। এমন কিছু ব্যক্তিও আপের হয়ে এবারে নির্বাচনে লড়ছেন যাদের পার্টি থেকে সম্প্রতি প্রায় নির্বাশিত হয়েছেন। কিছু ব্যক্তিদের নাম দলীয় লোকপালের কাছে পাঠানো হয়েছে। উনি তাঁদের মধ্যে ২ জনকে দল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গোবর্ধন সিং ও রাজিন্দার দাদাসকে প্রতিস্থাপন করেছে আপ-এর দলীয় লোকপাল। দলের বিরুদ্ধে প্রচার ও বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ আনা হয়েছে গোবর্ধন সিংয়ের বিরুদ্ধে।

দাবাসের বিরুদ্ধে আপ-এরই এক সদস্যের ভাইয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রশান্ত ভূষণের পেশ করা তালিকা অনুযায়ী বাকি ১০জনের কারোর বিরুদ্ধে ভয় দেখানো, কারোর বিরুদ্ধে সম্পত্তি নয়ছয় আবার কারোর বিরুদ্ধে দাঙ্গার অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আপ-এর স্বেচ্ছা সেবকরা কোনও কোনও প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে বিজেপি বা বিএসপি-এর হয়ে লড়ার অভিযোগ এনেছেন।

 

.