বাজারে দাম বেড়েই চলেছে, বাড়ছে না রোজগার, পুষ্টিকর খাবার কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে দেশবাসী
মূল্যবৃদ্ধির জন্য পুষ্টির সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ। বণিক সভা অ্যাসোচ্যামের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষা বলছে মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাস্তানাবুদ মধ্যবিত্তরা শাক সবজি ফল, ডিম ,মাছ, মাংস ,ডাল কেনা প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন। খুচরো পন্যের দাম বাড়ায় বাধ্য হয়েই দৈনিক খাবারের মেনুতে কাটছাট করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার।
মূল্যবৃদ্ধির জন্য পুষ্টির সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ। বণিক সভা অ্যাসোচ্যামের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমীক্ষা বলছে মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাস্তানাবুদ মধ্যবিত্তরা শাক সবজি ফল, ডিম ,মাছ, মাংস ,ডাল কেনা প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন।
খুচরো পন্যের দাম বাড়ায় বাধ্য হয়েই দৈনিক খাবারের মেনুতে কাটছাট করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার।
বাজার আগুন, তাই কম পুষ্টিতেই নিজেদের সন্তুষ্ট রাখছেন দেশের সাধারণ মানুষ। বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম এক সমীক্ষায় বলছে, মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই অনুপাতে মধ্যবিত্ত সংসার গুলিতে আয় বাড়েনি। ফলে রাশ টানতে হচ্ছে খরচে। আর তার প্রভাব সরাসরি পরছে পুষ্টিতে।
দিল্লি , মুম্বই, কলকাতা পুনের মতো বড় শহর গুলিতে সমীক্ষা চালিয়ে ছিল অ্যাসোচ্যাম। সমীক্ষা বলছে পুষ্টির উপর মূল্যবৃদ্ধির সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে নয়া দিল্লিতে। তালিকায় মুম্বই, আহমেদাবাদের পরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা।
সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এমন ৮৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, মরসুমি ফল কেনার মতো ক্ষমতা তাদের নেই। মূল্যবৃদ্ধির কারণে কমিয়ে দিতে হয়েছে সবজি কেনাও।
সমীক্ষা বলছে কোনও পরিবারে তিন বছর আগে ফল সবজির জন্য মাসে দেড় হাজার টাকা খরচ হলে এখন তা বেড়ে হয়েছে চার থেকে ছয় হাজার টাকা। প্রায় ৬২ শতাংশ চাকরিজীবী পরিবারের ক্ষেত্রেই প্রতি মাসে ফল সবজির জন্য খরচ চারগুন বেড়ে গিয়েছে। খরচ কমাতে বদল করতে হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস।
ভারতের অধিকাংশ নিরামিশাষি পরিবারই পুষ্টির জন্য দুধের উপর নির্ভরশীল। ভারতে মাথাপিছু দুধের উত্পাদনও বেড়েছে। কিন্তু এখন পরিমাণ মতো দুধ কেনার ক্ষমতাই নেই অধিকাংশ পরিবারের। শুধু দুধ, ডিম, মাছ, মাংসই নয় সাধারণ সবজির দামও গত কয়েক বছরে আকাশ ছুঁয়েছে। টমেটো, ঢ্যাড়শ এমনকি আলুও এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। ফলে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির দৈনন্দিন জীবন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন অ্যাসোচ্যামের মহা সচিব ডি এস রাওয়াত।