তথ্যের অধিকার আইনে প্রস্তাবিত বদল
তথ্যের অধিকার আইনে সম্ভবত বড় রকমের বদল আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০০৫ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে চালু হওয়া তথ্যের অধিকার আইনের (Right To Information বা RTI) দ্বারা সাধারণ নাগরিক, সরকারের যেকোনও কাজ বা প্রকল্প সম্পর্কে সরাসরি প্রশ্ন তুলে তথ্য দাবি করতে পারে। এবার 'সাধারণ মানুষের সেই হাতিয়ার'ই 'ভোঁতা' করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনই অভিযোগ তথ্য আন্দোলনকারীদের। প্রস্তাবিত এই সব বদল কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত দফতর দ্বারা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এইসব প্রস্তাবে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানাতে পারবে। কিন্তু কী কী বদল আসছে?
ওয়েব ডেস্ক: তথ্যের অধিকার আইনে সম্ভবত বড় রকমের বদল আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০০৫ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে চালু হওয়া তথ্যের অধিকার আইনের (Right To Information বা RTI) দ্বারা সাধারণ নাগরিক, সরকারের যেকোনও কাজ বা প্রকল্প সম্পর্কে সরাসরি প্রশ্ন তুলে তথ্য দাবি করতে পারে। এবার 'সাধারণ মানুষের সেই হাতিয়ার'ই 'ভোঁতা' করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনই অভিযোগ তথ্য আন্দোলনকারীদের। প্রস্তাবিত এই সব বদল কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত দফতর দ্বারা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এইসব প্রস্তাবে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানাতে পারবে। কিন্তু কী কী বদল আসছে?
১) নতুন নিয়মে, আরটিআই আবেদন ৫০০ শব্দের বেশি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আর ৫০০ শব্দের বেশি হলে তার জন্য অধিক টাকা গুণতে হবে আবেদনকারীকে। তবে, শব্দ সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কোনও আবেদনকেই বাতিল করা হবে না।
২) কোনও বিষয়ে তথ্য চাইলে, সেই তথ্য পাওয়ার জন্য পোস্টাল চার্জ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।
৩) কোনও আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে তথ্য জানাতে অস্বীকার করা হলে, আবেদনকারীকে অনলাইনে অভিযোগ জানাতে হবে। হাতে লেখা চিঠি গৃহীত হবে না।
৪) এবার থেকে আবেদনকারীকেই নিজের আবেদনের একটি কপি তথ্য কমিশনারকে পাঠাতে হবে। আগের নিয়মে, আবেদনকারী তাঁর আবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে বা আধিকারিককে জানাতেন। তারপর সেই দফতর থেকে আবেদনের কপি তথ্য কমিশনারের কাছে যেত।
৫) এতদিন ন্যাশানাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস বা ইকোনমিক সার্ভের মতো প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য পেতে হলে ১০ টাকা খরচ করলেই হত। কিন্তু এখন থেকে ওই তথ্যের জন্য হয় বাজার মূল্য দিতে হবে, নতুবা প্রতি পৃষ্ঠার প্রতিলিপি করার খরচ বাবদ ২টাকা করে দিতে হবে। আগে এই খরচ অর্ধেক ছিল।
তথ্য আন্দোলনকারীরা মনে করছেন, এই সব বদলকে আরও খরচ সাপেক্ষ করে দিচ্ছে এবং ইন্টারনেটে অভ্যস্ত নয় এমন মানুষকেও তথ্য জানার অধিকার থেকে পরোক্ষে বঞ্চিত করছে। (আরও পড়ুন- স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চার নতুন নিয়ম)