'জনসংযোগ বাড়াতে হবে; আরও সক্রিয় হতে হবে সংসদে', দলের বরিষ্ঠ নেতার নিশানায় খোদ রাহুল
রাহুল গান্ধীর আমলেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে ক্ষমতা উদ্ধার করে কংগ্রেস। দলের তরুণ ব্রিগেড সেকথাও তোলেন বৈঠকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ায় দল ছাড়ার পেছনে কংগ্রেসের ওল্ড ব্রিগেডের বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে দিগ্বিজয় সিং ও কমল নাথের মতো নেতা জ্যোতিরাদিত্যের গেরুয়া শিবিরে যাওয়া ত্বরান্বিত করেছিল বলেই মনে করা হয়। এবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের সমালোচনা করলেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ দিগ্বিজয় সিং। এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের মধ্যেই।
আরও পড়ুন-শারীরিক অবস্থা 'স্থিতিশীল', দিল্লির হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সোনিয়া
২০১৮ সালে দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাহুলের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন দিগ্বিজয় সিং। তাঁর এখন বক্তব্য, সংসদে রাহুলকে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হবে তাঁকে। অর্থাত্ দিগ্বিজয় সিং ঘুর পথে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, রাহুল গান্ধীর জন সংযোগের অভাব রয়েছে।
I agree. He is different and wants to do politics differently. We should allow him to do so but then we also would like him to be more active in Parliament and more accessible to people. As advised by Sharad Pawar he should go around India. “Yatras” are important to connect. https://t.co/6fJQbD47ZB
— digvijaya singh (@digvijaya_28) August 2, 2020
দিগ্বিজয় সিং আরও বলেন, আমি জানি উনি একটু অন্যরকম। অন্য ধরনের রাজনীতি করতে চান। সেটাই ওঁকে করতে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরাও চাই উনি সংসদে আরও বেশি সক্রিয় হোন, সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে যান। শরদ পাওয়ার যেমনটা বলেছেন, রাহুলের উচিত জন সংযোগের জন্য দেশ আরও বেশি 'যাত্রা' করা।
আরও পড়ুন-ঘরে বসেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে ভুমি পুজো দেখবেন রামমন্দির আন্দোলনের দুই মুখ
বৃহস্পতিবার একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক বসে। সেখানে দলের তরুণ ব্রিগেড দল চালানো নিয়ে বরিষ্ঠ নেতাদের সমালোচনা করতে ছাড়েনি। বৈঠকে একাধিক তরুণ নেতা সাফ বলে দেন, এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয় কংগ্রেস। এর দায় বুড়ো নেতাদের নিতে হবে।
গত লোকসভা নির্বচানে আমেঠিতে হেরে যান খোদ রাহুল গান্ধী। মধ্যপ্রদেশের গুনায় হারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু এটাও ঠিক যে রাহুল গান্ধীর আমলেই মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে ক্ষমতা উদ্ধার করে কংগ্রেস। দলের তরুণ ব্রিগেড সেকথাও তোলেন বৈঠকে। হাল আমলে করোনা সংক্রমণ, চিনের সঙ্গে সংঘাত ও অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রাহুলই। দলের বহু নেতার দাবি, পুরনো নেতাদের এবার বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের মূল্যায়ন করা উচিত। শুধুমাত্র রাহুলকে কাঠগড়ায় তুলে লাভ নেই।