'ভারতকে যারা শেষ করছে তাদের হাতের পুতুল হবেন না', টুইটার প্রধানকে সতর্কবার্তা রাহুলের
টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে রাহুল লেখেন, টুইটারে অনিচ্ছাকৃত জটিলতা তৈরির চেষ্টা চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: টুইটারের মতো সোশাল মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে অবাধে মন্তব্য করলেই রোষানলে পড়তে হচ্ছে, যা কাম্য নয়, এই মর্মেই এবার টুইটারকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি সাফ বলেছেন, ভারতকে যারা শেষ করে দিতে চাইছে, সংস্থা যেন তাদের হাতের পুতুল হয়ে না ওঠে। টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে রাহুল লেখেন, টুইটারে অনিচ্ছাকৃত জটিলতা তৈরির চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে সোনিয়া-পুত্র তাঁর অ্যাকাউন্টের বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের টুইটারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে ২০২১ সালের প্রথম সাত মাসে তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা গড়ে ৪ লক্ষ বেড়েছে। কিন্তু গত বছরের অগাস্টে তার অ্যাকাউন্ট আট দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার পরে সেই ফলোয়ার্সের সংখ্যার বৃদ্ধি কমেছে।
সেই কারণ উল্লেখ করে মোদি-শাহদের পরোক্ষভাবেই দায়ী করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মতে সেই সময় তিনি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ইস্যুতে তোপ দেগেছিলেন। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছিল শাসক শিবিরে। ২৭ ডিসেম্বর টুইটার সিইওকে পাঠানো চিঠিতে রাহুল বলেন, ভারতকে ধ্বংস করার যে চেষ্টা চলছে সেখানের অংশ টুইটার যেন না হয়।
রাহুলের কথায়, "কাকতালীয়ভাবে নয়, সেই সময় দিল্লির ধর্ষণ ইস্যু, কৃষক আন্দোলন এবং একাধিক মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছিলাম। ভারতের যে কোনও রাজনীতিকদের মধ্যে আমার পোস্ট করা সেই ভিডিওগুলিই জনপ্রিয় হয়েছিল। টুইটারে সবচেয়ে বেশি রিট্যুইট পোস্টগুলির মধ্যে তা ছিল।" সরকারের চাপের কাছেই হয়তো টুইটার আমার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল।
এরপরই মাইক্রো ব্লগিং সাইটকে সরাসরি তোপ দেগে রাহুল বলেন, "সেই একই ভিডিও ও ছবি শাসকদলের ও সরকারি কর্তাব্যক্তিরা পোস্ট করলেও টুইটার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ তাদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়নি। কেবল লক্ষ্যবস্তু ছিলাম আমিই "।