বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম দফায় ভোট পড়ল ৬২ শতাংশ

দেশের বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষায় বাধ সাধল বৃষ্টি! এদিন উত্তরপ্রদেশে ৭ দফার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ পর্বে অওধ এবং তরাই অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় ভোটারদের উত্‍সাহে 'জল ঢালে' প্রকৃতি। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ।

Updated By: Feb 7, 2012, 11:30 PM IST

দেশের বৃহত্তম রাজ্যে (জনসংখ্যার নিরিখে) গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষায় বাধ সাধল বৃষ্টি! এদিন উত্তরপ্রদেশে ৭ দফার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ পর্বে অওধ এবং তরাই অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় ভোটারদের উত্‍সাহে 'জল ঢালে' প্রকৃতি। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬২ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী ইতিহাসের নিরিখে তা তেমন কম নয় বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
উত্তরপ্রদেশের ১০ জেলায় ৫৫টি আসনের ভোট হচ্ছে এই পর্বে। জন্য প্রার্থীর সংখ্যা, ৮৬২ । তার মধ্যে রয়েছেন ২ জন মন্ত্রী, ৩১ জন বিধায়ক এবং ১৫ জন প্রাক্তন মন্ত্রী। ভোটদাতার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি। সীতাপুর, বরাবাঁকি, ফৈজাবাদ, অম্বেদকর নগর, বাহারআইচ, শ্রাবস্তি, বলরামপুর, গোণ্ডা, সিদ্ধার্থনগর এবং বস্তি জেলার ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন প্রায় ১০০ জন 'বাহুবলী' প্রার্থী। বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর সংখ্যা ২৮। বিএসপি এবং বিজেপি'র প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ২৪ জন করে 'দাগি' প্রার্থী। কংগ্রেসে ১৫ জন।
২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এখান থেকে মাত্র ৩টি আসন পেয়েছিল। বহুজন সমাজ পার্টি পেয়েছিল ৩০টি আসন। সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয় যথাক্রমে ১৮ এবং ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। তবে দু`বছরের মধ্যেই এই চিত্রটা আমূল বদলে যায়। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলের ৭টি লোকসভা কেন্দ্রে ওড়ে কংগ্রেসের জয়পতাকা। বিএসপি জেতে ৫টি কেন্দ্রে। সমাজবাদী পার্টি পায় মাত্র ১টি। একাধিক দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসপির পক্ষে এবারের লড়াই বেশ কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছিল। পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির পুনরুত্থানের সম্ভাবনাও রয়েছে যথেষ্টই।

তবে এদিনের বৃষ্টি বিঘ্নিত নির্বাচন বিএসপি'কে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সাধারণভাবে ভোটের হার কম হলে 'অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর'-এর মোকাবিলা করতে শাসক দলের সুবিধা হয়। এর পাশাপশি রয়েছে আর্যাবর্তের জাতপাতের সমীকরণ ও দলীয় দায়বদ্ধতার প্রশ্নটিও। উত্তরপ্রদেশে বিএসপি'র দলিত ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই 'কমিটেড'। ফলে মায়াবতী সমর্থকদের ঝড়জল উপেক্ষা করে বুথমুখো হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক ভাবে বেশি।
পাশাপাশি সমাজবাদী সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবের প্রতিও যাদব ভোটারকূল এখনও নিবেদিতপ্রাণ। তুলনায় প্রতিষ্ঠানবিরোধী উচ্চবর্ণ ও অতি-দলিত ভোটের আশায় থাকা কংগ্রেসের প্রকৃতির রোষের শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যথেষ্টই। আর সে ক্ষেত্রে ২২ বছর পর 'রাহুল ম্যাজিক'-এ ভর করে লখনউ-এর মসনদ দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে ২৪ নম্বর আকবর রোডের নীতি নির্ধারকদের।

.