অবশেষে কাটল জট, ১৪ অগাস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরুর অনুমতি রাজ্যপালের

এর আগে তিনিবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার প্রস্তাব খারিজ করে দেন কলকাজ মিশ্র

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jul 29, 2020, 11:51 PM IST
অবশেষে কাটল জট, ১৪ অগাস্ট রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরুর অনুমতি রাজ্যপালের
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা কয়েকদিন ধরে চলা জট অবশেষে কাটল। শেষপর্যন্ত রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রর কথা মতোই ঠিক হল রাজস্থান বিধানসভা অধিবেশনের দিন! রাজ্য বিধানসভার অভিবেশন শুরু হচ্ছে  ১৪ অগাস্ট।

আরও পড়ুন-হস্টেলের ঘরে গ্যাস লিক করে মৃত্যু প্রেসিডেন্সির ছাত্রীর, ৬৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

বুধবার সন্ধেয় রাজ্যপালের দফতরের এক নোটিসে জানানো হয়েছে  ১৪ তারিখ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসবে। ওই নোটিসে লেখা হয়েছে, '১৪ অগাস্ট থেকে বিধানসভার পঞ্চম অধিবেশন শুরু করার রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল।' করোনা পরিস্থিতিতে যে স্বাস্থ্যবিধি লাগু রয়েছে তা মেনে চলতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবার অশোক গেহলট মন্ত্রিসভা নতুন একটি প্রস্তাব পাঠায়। সেখানে ১৪ অগাস্ট থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করার আবেদন জানানো হয়। তাতেই সায় দিলেন রাজ্যপাল।

উল্লেখ্য, এর আগে তিনিবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার প্রস্তাব খারিজ করে দেন কলকাজ মিশ্র। কখনও রাজ্যের প্রস্তাবের পাল্টা করেছেন ৬ প্রশ্ন, কখনও আবার ৩টি মোক্ষম প্রশ্নে গেহলটকে নাকানিচোপানি খাইয়েছেন।

রাজ্য সরকার বারবারই ৩১ জুলাই বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ব্যাপারে রাজ্যপালের ওপরে পরোক্ষে চাপ তৈরির চেষ্টা করছিল। শেষবার রাজ্যপাল যুক্তি দেখান, ২১ দিনের নোটিস না দিয়ে রাজ্য বিধানসভার অভিবেশন ডাকার মতো কোনও পরিস্থিতি নেই। রাজ্য সরকার তেমন কোনও কারণও দেখাতে পারেনি। তাঁর প্রশ্ন ছিল, এই অধিবেশনে আস্থা ভোট করা হবে কিনা, ২১ দিনের নোটিস দিয়ে বিধায়কদের ডাকা হবে কিনা এবং করোনা পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিস্টানসিং মানা হবে কিনা।

আরও পড়ুন-গোষ্ঠী সংক্রমণেও কি হুঁশ ফিরবে না? লকডাউন সুরক্ষাবিধি ভাঙায় বিধাননগরে গ্রেফতার ৭২১ জন

এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজস্থানে চলা রাজনৈতির টালবাহানা অন্য দিকে মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। বুধবার দলের বিধায়কদের এক বৈঠকে তিনি বলেন, যেসব বিধায়ক বিদ্রোহ করেছেন তারা চাইলে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে আসতে পারেন। হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সচিন পাইলট সহ ১৯ বিধায়ক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পর একসময় যে অনড় অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছিলেন সেখানে আর টিকে থাকতে পারছেন না তিনি। 

.