৪ বছরে মেলেনি একটিও চাকরি, এবার তাই মোদীকে ভোট নয় কসবা বনলির
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে মূলত কর্মসংস্থানে, কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই ও মেক ইন ইন্ডিয়ার ওপরই জোর দিয়েছিল বিজেপি। আর তাতেই আসে সাফল্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরি না মিললে আর ভোট নয় নরেন্দ্র মোদীকে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে এমনই ঘোষণা করলেন রাজস্থানের কসবা বনলির বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিচেপির প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই ভোট দিলেও ৫ বছরে মেলেনি চাকরি। তাই ২০১৯-এ আর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের জন্য ভোট নষ্ট করবে না কসবা বনলির বাসিন্দারা।
গ্রামের বাসিন্দারা প্রধানত কৃষিজীবী। তবে, সেই গ্রামের তরুণ প্রযন্ম আর এই পেশায় থাকতে চাইছেন না। তাদের বক্তব্য, পড়াশুনো শিখে আমরা চাকরি করতে চাই। আমাদের সেই ইচ্ছেকে স্বীকৃতি দিতেই ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর কেটে গেছে ৪ বছর। কিন্তু একটিও চাকরি হয়নি গ্রামে, দাবি রাকেশ কুমার নামে এক যুবকের। স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অথচ, অনেক চেষ্টা করেও নিজের জন্য একটি চাকরি জোগাড় করতে না পেরে বর্তমানে রংমিস্ত্রির কাজ করেন।
আরও পড়ুন- আধার সংযুক্তিকরণ নিয়ে কেন্দ্রের 'সুপ্রিম' অস্বস্তি
এদিকে, কসবা বনলিতে বিজেপি বিরোধী হাওয়ার সুযোগ নিয়ে ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান শচিন পাইলটের দাবি, ''২০১৯ নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে, একাধিক ক্ষেত্রে চাকরি তৈরি হওয়া পরিবেশ তৈরি করবে। তবে বিজেপির মতো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে না।''
প্রসঙ্গত, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে মূলত কর্মসংস্থানে, কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই ও মেক ইন ইন্ডিয়ার ওপরই জোর দিয়েছিল বিজেপি। আর তাতেই আসে সাফল্য। কিন্তু গত ৪ বছরে প্রত্যাশা অনুসারে কর্মসংস্থানের সুযোগ না করে তুলতে পারায় বারবার বিরোধীদের আক্রমণের সামনে পড়তে হয়েছে মোদী অ্যান্ড কোম্পানিকে। এই ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। দিন কয়েক আগেই তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সে ভাবে চাকরির সুযোগ গড়ে তুলতে পারেনি।