ক্রিকেটারের প্রেমে পড়ে টেস্ট ম্যাচ দেখতে যেতেন 'আম্মা', ক্রাশ ছিলেন শাম্মী কাপুর!
সৌরভ পাল
"আজা সনম মধুর চাঁদনি মে হাম তুম..., ক্যাহে তে হে দিল ওর মচল তা হে দিল... মোরে সজন লে চল মুঝে তারোকে পাস, লাগতা নেহি দিল ইয়াহা...", এই গান আর গাইবেন না জয়ললিতা। 'আর স্বপ্ন দেখবেন না, তাঁর সজনের'। দ্য এন্ড অব জার্নি। ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী জীবনের শেষ ৭৫টা দিন কাটালেন অ্যাপলো হাসপাতালেই। দীর্ঘ লড়াইয়ে হার অবশেষে মানতেই হল। জাতীয় পতাকায় মোড়া 'আম্মা' আর কয়েক ঘণ্টাই আছে, তারপর চিরবিদায়।
রিল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফ, জয়ললিতা কখনও দক্ষিণের রেবেল আইকন, কখনও তারকা আবার কখনও রাষ্ট্রক্ষমতার সভানেত্রী। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই রাজনীতিতে সর্ব সময়ের কর্মী। দিন যত এগিয়েছে ততই নেত্রী হওয়ার এক একটা সিঁড়ি পাড় করে জয়ললিতা হয়েছেন 'আম্মা'। বিতর্ক থাকলেও জয়ললিতা তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মানুষের কাছে মায়ের আসনেই পূজিতা। মায়ের মৃত্যুতে তাই মন খারাপ গোটা দক্ষিণ ভারতরে। শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। আরও পড়ুন- আম্মার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি? কেজরির টুইট নিয়ে হৈ হট্টগোল
বিদায় মুহূর্তে চোখের প্লাবনে স্নান করেই চিতায় উঠবেন 'আম্মা'। তবে যাওয়ার আগে সবাইকে ফিরেয়ে নিয়ে গেলেন সেই সুন্দর অতীতে। জয়ললিতার 'প্রেম', প্রিয় সিনেমা, তাঁর কন্ঠে 'চোরি চোরি' (১৯৫৬) সিনেমার গান আজ মানুষের মনে যেন এক একটা ঢেউ।
স্টারডম ছেড়ে দিয়ে 'আম্মা'র সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকার, আম্মার স্বীকারোক্তি, ভারতের ক্রিকেট দলের সেই সময়কার অধিনায়ক নারি কন্ট্র্যাক্টরের প্রেমে পড়ে ক্রিকেট মাঠে চলে যেতেন বারে বারে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেবল ভারতীয় অধিনায়ককে দেখবেন বলেই ক্রিকেটের প্রতি প্রেমের উদ্বেল হয় তাঁর। বলিউডের সুপার স্টার শাম্মী কাপুরকে খুব পছন্দ, অথচ কোনও দিন দেখাই হল না। চলে গেলেন জয়ললিতা। আজ যখন তিনি শেষ সজ্জায়, দক্ষিণের উপকূলে সুরের ঢেউ যেন গাইছে, "মোরে সজন লে চল মুঝে তারোকে পাস, লাগতা নেহি দিল ইয়াহা..."।
জয়ললিতার কণ্ঠে শুনুন- আজা সনম মধুর চাঁদনি মে হাম তুম..., ক্যাহে তে হে দিল ওর মচল তা হে দিল...
Rare Interview Of #Jayalalithaa. For The 1st Time She Is Seen Like Any Other Ordinary Woman! #RIPAmma! #Amma
— Sir Ravindra Jadeja (@SirJadeja) December 5, 2016