মুক্তি পেতে চলেছে নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের নাবালক অপরাধী
মুক্তি পেতে চলেছে নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের নাবালক অপরাধী। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আইন অনুযায়ী ওই অপরাধীর মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। হাইকোর্টের রায়ে হতাশ নির্ভয়ার পরিবার। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে দিল্লির মহিলা কমিশন। ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২, দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, মেডিক্যাল ছাত্রীর ওপর নৃশংস অত্যাচার।ধর্ষকদের নারকীয় অত্যাচারের সামনেও রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ওয়েব ডেস্ক: মুক্তি পেতে চলেছে নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডের নাবালক অপরাধী। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, আইন অনুযায়ী ওই অপরাধীর মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। হাইকোর্টের রায়ে হতাশ নির্ভয়ার পরিবার। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে দিল্লির মহিলা কমিশন। ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২, দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, মেডিক্যাল ছাত্রীর ওপর নৃশংস অত্যাচার।ধর্ষকদের নারকীয় অত্যাচারের সামনেও রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
দিল্লিতে মেডিক্যাল ছাত্রীর গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশ। লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন নির্ভয়া। তত্পর হয়েছিল প্রশাসন। ধরা পড়েছিল ছয় ধর্ষণকারী। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। আর একজনকে তিন বছর হোমে রাখার নির্দেশ দেয় জুভেনাইল ল বোর্ড। কারণ, ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল। সেইমত আগামী বিশে ডিসেম্বরের মধ্যে তার মুক্তি পাওয়ার কথা। সেই মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। কিন্তু উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আইন অনুযায়ী ওই নাবালক অপরাধীর মুক্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়।
নির্ভয়ার ওপর সবচেয়ে নৃশংস অত্যাচার করেছিল ওই নাবালকই। সেই অপরাধী মুক্তি পেতে চলেছে। হতাশ নির্ভয়ার পরিবার। ফলে সম্ভবত আগামী রবিবারের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে নির্ভয়াকাণ্ডের ওই অপরাধী। এনিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। তার মুক্তি আটকাতে রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্ট এবং দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লির মহিলা কমিশন।