শীঘ্রই সামনে আসবে নমো ডিগ্রি

কত দূর লেখাপড়া করেছেন নরেন্দ্র মোদী? তাঁর ঝুলিতে কী ডিগ্রি রয়েছে? এসব প্রশ্নেরই উত্তর চায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর আম আদমি পার্টি (আপ)। কারণ, মোদীর শিক্ষাগত ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং কেজরিওয়াল। যদিও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তরুণ দাস প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু আপের এক সদস্যের মাধ্যমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যের অধিকার আইনে এই বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রকাশ করতে আপত্তি জানায় 'গোপনীয়তা নষ্ট' হওয়ার 'দোহাই' দিয়ে। তবে শেষ অবধি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি ধোপে টিকছে না। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কী হয়েছে?

Updated By: Jan 10, 2017, 09:08 AM IST
শীঘ্রই সামনে আসবে নমো ডিগ্রি

ওয়েব ডেস্ক: কত দূর লেখাপড়া করেছেন নরেন্দ্র মোদী? তাঁর ঝুলিতে কী ডিগ্রি রয়েছে? এসব প্রশ্নেরই উত্তর চায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর আম আদমি পার্টি (আপ)। কারণ, মোদীর শিক্ষাগত ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং কেজরিওয়াল। যদিও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তরুণ দাস প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু আপের এক সদস্যের মাধ্যমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যের অধিকার আইনে এই বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্য প্রকাশ করতে আপত্তি জানায় 'গোপনীয়তা নষ্ট' হওয়ার 'দোহাই' দিয়ে। তবে শেষ অবধি কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের নির্দেশে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তি ধোপে টিকছে না। কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক কী হয়েছে?

আরও পড়ুন- নোট বাতিলের ২ মাস, মানুষের সর্বনাশ, মোদীবাবুদের মধুমাস বললেন মমতা

নীরজ শর্মা নামক এক ঘোষিত আপ কর্মী কিছুদিন আগেই তথ্যের অধিকার আইনে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১৯৭৮ সালে 'ব্যাচেলর অফ আর্টস' ডিগ্রি প্রাপ্ত তথা স্নাতকদের একটি তালিকা চান। উল্লেখ্য, ওই বছরই নরেন্দ্র মোদী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি লাভ করেন। কিন্তু নীরজ শর্মাকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে ওই তথ্য 'গোপন' এবং তার সঙ্গে 'জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই' তাই তা প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নন নীরজ। তিনি ছোটেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন পর্যন্ত।

আরও পড়ুন- সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন সুদীপ, চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচরুলু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি যা থেকে বোঝা যেতে পারে যে এই তথ্য কীভাবে 'গোপনীয়তা নষ্ট' করতে পারে। ফলে তথ্য জানাতেই হবে। পাশাপাশি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য আধিকারিক মীনাক্ষী সহায়কে ২৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়। তার মানে আপাতত অ্যাডভান্টেজ আপ। কিন্তু এখন দেখার, শেষ অবধি কে অ্যাডভান্টেজে থাকেন দিল্লির শাসক না দিল্লিতে বসে যিনি দেশ শাসন করছেন তিনি।

.