বেকসুর খালাস সজ্জন কুমার, বিচারককে ছোঁড়া হল জুতো

১৯৮৪-এর শিখ বিরোধী দাঙ্গা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার। সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার মধ্যে একটির রায় ঘোষণা ছিল আজ। কারকাডুমার বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁকে ১৯৮৪-র দাঙ্গা সংক্রান্ত সেই মামলা থেকে মুক্তি দিল। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আদালত চত্বরে ভিড় করে থাকা বিভিন্ন শিখ সংগঠন গুলির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানান এই বিচারের। বিচারক এজলাসের বাইরে বেরিয়ে এলে জনতা আরও উত্তেজত হয়ে পড়েন। এই সময় বিচারকের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারেন এক ব্যক্তি।

Updated By: Apr 30, 2013, 03:46 PM IST

১৯৮৪-এর শিখ বিরোধী দাঙ্গা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমার। সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার মধ্যে একটির রায় ঘোষণা ছিল আজ। কারকাডুমার বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁকে ১৯৮৪-র দাঙ্গা সংক্রান্ত সেই মামলা থেকে মুক্তি দিল। এই রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আদালত চত্বরে ভিড় করে থাকা বিভিন্ন শিখ সংগঠন গুলির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানান এই বিচারের। বিচারক এজলাসের বাইরে বেরিয়ে এলে জনতা আরও উত্তেজত হয়ে পড়েন। এই সময় বিচারকের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারেন এক ব্যক্তি।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলে `৮৪-এর দাঙ্গায় খুন, ডাকাতি, দাঙ্গা সংগঠিত করা, হিংসায় উস্কানি এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তি নষ্ট করার মত গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে। আজ সব কটি অভিযোগ থেকেই মুক্তি পেলেন তিনি।
নানাবতী কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে ২০০৫-এ মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০-এর জানুয়ারিতে সিবিআই সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে দুটি চার্জশিট পেশ করে।
গত সপ্তাহে সিবিআই আদালতে দাবি করে ১৯৮৪-এর শিখ বিরোধী দাঙ্গায় সজ্জন কুমারের সঙ্গে পুলিসের চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র ছিল।
কংগ্রেসের এই প্রাক্তন সংসদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, দাঙ্গার সময় দিল্লি ক্যানটনমেন্টে সুলতানিপুর অঞ্চলে পরিকল্পিত ভাবে দাঙ্গা সংগঠিত করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় জনতাকে খেপিয়ে তুলে ভয়াবহ হিংসা সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। এই হিংসার বলি হন ছ`জন শিখ ধর্মাবলম্বি সাধারণ মানুষ।
নিম্ন আদালতে দুটি ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগও ছিল সজ্জন কুমারের বিরিদ্ধে।

.