সরবজিতের পরিবারের চার সদস্যের ভিসা মঞ্জুর
কোমাচ্ছন্ন সরবজিৎ সিংকে দেখতে তাঁর পরিবারের চার সদস্যের পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা মঞ্জুর করাল পাক হাইকমিশনার। সরবজিতের স্ত্রী, বোন ও বোনের মেয়ে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তাঁকে দেখতে। তবে ঠিক কবে তাঁরা পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তা এখনও সঠিক জানা যায়নি।
কোমাচ্ছন্ন সরবজিৎ সিংকে দেখতে তাঁর পরিবারের চার সদস্যের পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসা মঞ্জুর করাল পাক হাইকমিশনার। সরবজিতের স্ত্রী, বোন ও বোনের মেয়ে পাকিস্তানে যাচ্ছেন তাঁকে দেখতে। তবে ঠিক কবে তাঁরা পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তা এখনও সঠিক জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আজ পাকিস্তানের জেলে ভারতীয় বন্দী সরবজিৎ সিংকে প্রহারের ঘটনাকে দুঃখজনক অ্যাখা দিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দুঃখপ্রকাশেও চিঁড়ে যে ভিজছে না তা বিরোধীদের মন্তব্যেই স্পষ্ট। গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাক জেলে সরবজিতের প্রহারের ঘটনাকে সরাসরি ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতার ফসল বলে মন্তব্য করলেন। সরবজিতের পরিবারের পক্ষ থেকেও অভিযোগ আনা হয়েছে কেন্দ্রীয়সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁরা অভিযোগ করেছেন সরকার আগে থেকে উদ্যোগ নিলে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হত না সরবজিৎকে।
অন্যদিকে, সরবজিতের শারীরিক অবস্থা এখনও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর এখনও সরবজিৎ কোমাতেই আছেন।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিদেশমন্ত্রক অবিলম্বে ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে সরবজিতের সাক্ষাতের দাবি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে কোট লাখপত জেলের তিন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে কর্তৃপক্ষ।
এখনও আশঙ্কাজনক সরবজিত সিং। প্রায় দু`দশক ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি এই ভারতীয় নাগরিক। শুক্রবার লাহোরের কোট লাখপত জেলের ভিতরেই আক্রান্ত হন তিনি। জানা গেছে, ইট এবং ছুরি নিয়ে একদল বন্দি তাঁর ওপর হামলা চালায়। বারবার তার মাথায় আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত সরবজিতকে প্রথমে জেলের হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় লাহোরের জিন্না হাসপাতালে। ইতিমধ্যে তার সিটি স্ক্যান হয়েছে। চিকিত্সকদের মতে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। জেলের ভিতরে সরবজিতের ওপর হামলার খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, এই হামলার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। সরবজিতের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের সাক্ষাতের দাবি জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনকে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।
সংসদে ভবনে হামলায় অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসির পর থেকেই পাক জেলে বন্দি সরবজিতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। এবিষয়ে ইসলামাবাদকে সতর্ক করেছিল নয়াদিল্লি। এরপর থেকে সরবজিতের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল পাক জেলে। সরবজিত সিংকে নিয়ে ভারত-পাক টানাপোড়েন নতুন নয়। পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় চর সরবজিত লাহোরে একটি বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সরবজিতের মুক্তির দাবিও দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে এসেছে ভারত। তার মাঝেই জেলের মধ্যে আক্রান্ত হলেন সরবজিত। কঠোর নিরাপত্তা ভেদ করে কী করে এই হামলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে নতুন করে জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলে।