নিয়ন্ত্রণমুক্ত হল সেভিংস অ্যাকাউন্ট
সেভিংস অ্যাকাউন্টকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এখন থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কী হবে, তা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কগুলি।
সেভিংস অ্যাকাউন্টকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এখন থেকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কী হবে, তা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কগুলি। এরফলে সাধারণ গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর পাশপাশি, মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও যথেষ্ট চড়া থাকায় আরও একদফা সুদের হার বাড়ালো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ হারে রেপো ও রিভার্স রেপো রেট বাড়ানো হয়েছে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টে এক লাখ টাকার বেশি জমা থাকলে তার উপর সুদের হার এখন থেকে ব্যাঙ্কগুলিই ঠিক করবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এ ব্যাপারে আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকতবে না। এখন থেকে একেক ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার হবে একেকরকম। এতদিন পর্যন্ত সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ সুদের হারে নিয়ন্ত্রণ ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। এখন বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমার ওপর সুদের হারকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলির প্রতিযোগিতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশি সুদ পেলে উপকৃত হবেন গ্রাহকেরাও। তবে একই পরিমাণ আমানতের উপর সব গ্রাহরককেই একই হারে সুদ দিতে হবে ব্যাঙ্ককে। ফিক্সড অ্যাকাউন্টে সুদের হার নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়েছিল আগেই।
একদিকে লাগামছাড়া মুদ্রাস্ফীতি অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিকাশের হারে স্লথ গতি। এই দুয়ের টানাপোড়েনে আরও একবার সুদের হার বাড়িয়ে বাজারে মুদ্রার জোগান কমানের পথেই হাঁটল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থনৈতিক বিকাশের হার মাত্র সাত দশমিক সাত শতাংশ। এই অবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কড়া আর্থিক নীতির মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করবে, নাকি, আর্থিক নীতি শিথিল করে বাড়তি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেবে - তা নিয়ে কৌতুহল ছিল। শেষপর্যন্ত, আর্থিক নীতি আরও আঁটোসাঁটো করে ফের একবার সুদের হার বাড়ালো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কে টাকা জমা রেখে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি যে সুদ পায় সেই রেপো রেট ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে যে হারে সুদ দিতে হয় সেই রিভার্স রেপো রেট দুটিই বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাজারে অর্থের যোগান কমবে। আর তার ফলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেই মনে করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
ডিসেম্বর মাস থেকে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। চলতি আর্থিক বছরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ সাত শতাংশে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন তিনি।