৮ মাস ধরে গণধর্ষণ! নিজের 'পবিত্রতা' প্রমাণ করতে এবার অগ্নিপরীক্ষার সামনে মহিলা
একটা বছর আগেও নিজের স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সুরাটে সুখের সংসার কাটাচ্ছিলেন তিনি। তখনও জানা ছিল না আগামী দিন গুলি হতে চলেছে জীবনের সবথেকে ভয়ানক অধ্যায়। ২০১৪-এর জুলাই। অপহৃত হন ২৩ বছরের ওই মহিলা। এরপর ৮ মাস ধরে লাগাতার গণধর্ষিত হন তিনি। ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫ জন ওই মহিলাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে।
ওয়েব ডেস্ক: একটা বছর আগেও নিজের স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সুরাটে সুখের সংসার কাটাচ্ছিলেন তিনি। তখনও জানা ছিল না আগামী দিন গুলি হতে চলেছে জীবনের সবথেকে ভয়ানক অধ্যায়। ২০১৪-এর জুলাই। অপহৃত হন ২৩ বছরের ওই মহিলা। এরপর ৮ মাস ধরে লাগাতার গণধর্ষিত হন তিনি। ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫ জন ওই মহিলাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে।
৮ মাস পর কোনওরকমভাবে প্রাণ বাঁচিযে ওই মহিলা ধর্ষকদের ডেরা থেকে পালিয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। তারপর ১৬ মার্চ ওই মহিলা সুরাটের বোটাড জেলার রানপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তখন জানতে পারেন তিনি ৬ মাসের গর্ভবতী। এরপর ওই মহিলাকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। এমনকি কোর্টে যখন গর্ভপাতের আর্জি করেন তিনি, সেখানেও খারিজ করে দেয় আদালত। ভারতের একটি ইংরাজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোর্ট থেকে বলা হয়, ' সাহসের সঙ্গে লড়াই করুন। নিজের সন্তানকে জন্ম দিন...'।
শ্বশুরবাড়ি থেকে তিরস্কৃত হওয়ার পর ওই মহিলা তাঁর স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে দেবলিয়া গ্রামে নিজের বাপের বাড়িতে চলে আসেন। এখানেই ঘটনার যবনিকা নয়। আরও ভয়ঙ্কর পরীক্ষার সম্মুখীন হন তিনি। নিজের পরিবারকে বাঁচাতে 'চোখা থাবানি বিধি' পালনে বাধ্য করা হয় তাঁকে। এই বিধি অনুযায়ী একজন তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে ওই ধর্ষিতা মহিলাকে। সেখানে তান্ত্রিক তাঁর মাথায় ১০ কেজি ওজনের একটি পাথর বসিয়ে দিয়ে তন্ত্র মন্ত্রও শুরু করবেন। কালা যাদুর মাধ্যমে ওই মহিলাকে সত্য কথা বলতে বাধ্য করা হবে। সত্যি কথা না বলা পর্যন্ত পাশবিক অত্যাচার চলবেই। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে মহিলার।
বিবিসি সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী ওই গ্রামের মানুষ এই 'চোখা থাবানি বিধি'-কে একটি ধর্মীয় প্রথা মনে করেন। অনেক বছর ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। গ্রামের মানুষ মনে করেন ঈশ্বর ওই কালা যাদুর মধ্যে মহিলার ওপর ভর করবেন এবং সব সত্য কথা ওই মহিলার মুখ দিয়ে বলবেন। ঘটনার ফলাফল যাই হোক না কেন, ওই মহিলার স্বামী তাঁর পরিবারের সঙ্গেই থাকবেন বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।