ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট, মিখাইল, শিনার বন্ধুর বক্তব্যে আরও জটিল হচ্ছে রহস্য
শিনা হত্যা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসকে তুলে দিল মিখাইল। পরিচয় লুকোতে জাল বার্থসার্টিফিকেট তৈরি করেছিল ইন্দ্রাণী। যেখানে মিকেল-শিনার বাবা-মার জায়গায় বসানো হয়েছে দাদু-দিদার নাম। একইসঙ্গে আসল বার্থ সার্টিফিকেটটিও পুলিসকে জমা দিয়েছে মিখাইল। আজ গুয়াহাটিতে ইন্দ্রাণী ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধার্থ দাসের পরিচিতদের জেরা করবে মুম্বই পুলিস। শিনা হত্যা রহস্যের জট খুলতে পুলিসের তুরুপের তাস এখন শিনার ভাই মিখাইল। বৃহস্পিতবার মুম্বই পুলিসকে ইন্দ্রানীর বানানো ভুয়ো বার্থ সার্টফিকেট তুলে দিয়ে বোমা ফাটিয়েছে মিখাইল। সেই ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট কপি এসেছে চব্বিশ ঘণ্টার হাতে। সার্টিফিকেটে দেখা যাচ্ছে দাদু উপেন্দ্রকুমার বোরা ও দিদা দুর্গারানী বোরাকে মিখাইল-শিনার বাবা, মা হিসাবে দেখানো হয়েছে।
সবথেকে বড় কারচুপি বার্থ সার্টিফিকেট রেজিস্টেশন হয়েছে দেখা যাচ্ছে ২০০২ সালে।
২০০২ সালেই পিটার মুখার্জির সঙ্গে বিয়ে হয় ইন্দ্রাণীর।
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন
তবে কি পিটারের কাছে শিনা-মিখাইলের আসল পরিচয় লুকোতেই এই ভুয়ো সার্টিফিকেট?
বৃহস্পতিবার গৌহাটির সুন্দরপুরের বাড়িতে মিখাইলকে একপ্রস্থ জেরা করে মুম্বই পুলিস। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ মিখাইলকে নিয়ে যাওয়া হয় দিসপুর থানায়। সেখানেই মিখাইল মুম্বই পুলিসের হাতে তুলে দেয় বেশকিছু ইমেল, শিনা, ইন্দ্রাণী,মিকেলের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড। শিনা হত্যা রহস্যের কিনারায় এই সব তথ্য প্রমাণ অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছে মুম্বই পুলিস। মিখাইলও জানিয়েছে খুব তাড়াতাড়িই সত্যি সামনে আসবে।
রাহুল ছাড়াও শিনার সঙ্গে আরও কারুর কি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল? যে ইন্দ্রাণীরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ? সেই রোষেই কী খুন হতে হল শিনাকে? এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেনা পুলিস। ইন্দ্রাণীর সঙ্গে মিখাইল ও শিনার সম্পর্কের তিক্ততা ঠিক কোন সময় থেকে এবং কিসের জন্য মিকেলের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করেছে পুলিস।