হাসিনাকে সাম্মানিক ডি-লিট ত্রিপুরার

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং নয়াদিল্লির দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি দ্রুত রূপায়ণের জন্য মনমোহন সরকারের কাছে আবেদন জানালেন শেখ হাসিনা।

Updated By: Jan 11, 2012, 11:23 AM IST

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং নয়াদিল্লির দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি দ্রুত রূপায়ণের জন্য মনমোহন সরকারের কাছে আবেদন জানালেন শেখ হাসিনা। জীবনে প্রথমবার ত্রিপুরা সফরে এসেই অবশ্য এদিন একটি অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। আগরতলায় তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট।
দু'দিনের ত্রিপুরা সফরে বুধবার বিকেল তিনটেয় আগরতলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছন হাসিনা। তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে আসেন সে দেশের প্রশাসন ও বাণিজ্যমহলের একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দূত তথা কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিবল, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাটিল।
বুধবার বিকেলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধির সম্ভাবনা সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর সফরসঙ্গী শিল্পমহলের প্রতিনিধিরা। প্রজ্ঞা ভবনের এই বাণিজ্য সম্মেলনের ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার বিশাল ক্ষেত্র বিদ্যমান। আর প্রকৃত সহযোগিতা তখনই সম্ভব, যখন রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে।

হাসিনার এই মন্তব্যকে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির ভূমিকা নিয়ে ঢাকার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। গত সেপ্টেম্বর মাসে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল আপত্তিতে পিছিয়ে আসে নয়াদিল্লি। এর ফলে ঘরোয়া রাজনীতিতে প্রবল চাপে পড়েন হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শেখ হাসিনাকে সাম্মানিক ডি-লিট উপাধি প্রদান করেন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি।

.