হিন্দু-মুসলিম বিভেদের চেষ্টা না হয়, সিএবি নিয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি শিবসেনার

গতকাল শিবসেনার সমর্থনের পরই রাহুল গান্ধী টুইট করে জানান, সিএবি দেশের গণতন্ত্রের উপর কুঠারঘাত করেছে। কেউ ওই বিলের সমর্থন জানালে, সেও গণতন্ত্র ধ্বংসের শরিক হবে

Edited By: সোমনাথ মিত্র | Updated By: Dec 11, 2019, 04:16 PM IST
হিন্দু-মুসলিম বিভেদের চেষ্টা না হয়, সিএবি নিয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি শিবসেনার
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: যতক্ষণ না আঁচাচ্ছে, শিবসেনার উপর ভরসা করতে পারছে না কোনও পক্ষই। সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় হৈহৈ করে পাশ হয়ে যায়। সেখানে শিবসেনা বিলের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে জোর জল্পনা তৈরি করে। তাহলে কি রাজ্যসভাতেও ওই বিলের সমর্থন জানাবে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট করা শিবসেনা!

গতকাল শিবসেনার সমর্থনের পরই রাহুল গান্ধী টুইট করে জানান, সিএবি দেশের গণতন্ত্রের উপর কুঠারঘাত করেছে। কেউ ওই বিলের সমর্থন জানালে, সেও গণতন্ত্র ধ্বংসের শরিক হবে। রাহুলের এ হেন সতর্কবার্তায় তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, রাজ্যসভায় ওই বিলের বিরোধিতা করা হবে। ওই বিল নিয়ে যে সব সমস্যা রয়েছে, সংশোধন করে রাজ্যসভায় পেশ না করা হলে সমর্থন দেবে না শিবসেনা। উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় তাদের হাতে  সর্বসাকুল্যে ৩ সাংসদ রয়েছে। বিরোধী আসনে বসে কেন্দ্রকে কতটা বেগ দিতে পারবে সন্দেহ রয়েছে।

আরও পড়ুন- ঘরে মাংস রান্না করছিলেন গৃহবধূ, আচমকাই জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল চিতবাঘ

রাজ্যসভায় শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানান, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি এখানে চলবে না। এটা অনুচিত। ফের হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করার চেষ্টা না হয়, তার সতর্কবার্তা দেন সঞ্জয় রাউত। জবাবে অমিত শাহ বলেন, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির প্রশ্নই ওঠে না। লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের ইস্তেহারে এই বিল আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। জনগণ সামনে তা তুলে ধরা হয়। আর সেই জনগণই বিপুল জনমত দিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এনেছেন। 

.