গলছে বরফ, শেষমেষ হয়তো শিবসেনার সমর্থন নিয়েই সরকার গড়বে বিজেপি
বিজেপিকে সমর্থন না করলে চাপে পড়ে যেতে হত তাই আর বিজেপির অপেক্ষায় না থেকে আগে এগিয়ে এল শিবসেনাই। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১২২টি আসন।
ওয়েব ডেস্ক: দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফলেলন শিবসেনার দুই নেতা। এরপরই জোর জল্পনা আজই হয়তো মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করবে পুরনো সঙ্গি শিবসেনা। ভোটের আগে বিজেপির সঙ্গে তিক্ত হয়ে যাওয়া সম্পর্ক মেরামতিতে আগে এগিয়ে এল উদ্ধব ঠাকরের দলই। কারণ শরদ পাওয়ারের এনসিপি বিজেপি সমর্থন জানানোয় চাপে ছিল শিবসেনা। বিজেপিকে সমর্থন না করলে চাপে পড়ে যেতে হত তাই আর বিজেপির অপেক্ষায় না থেকে আগে এগিয়ে এল শিবসেনাই। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১২২টি আসন। সেক্ষেত্রে শিবসনেরা সমর্থন পেলে সহজেই সরকার ফেলবে বিজেপি।
তবে বিজেপি এখন ধন্দে মহারাষ্ট্রে কাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে আনা হবে তা নিয়ে। মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনের আলোচনা দীপাবলি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। এরমধ্যেই নতুন জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে মাহারাষ্ট্রারের রাজনীতির অলিন্দে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করিকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে চায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব রাখতে চলেছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপির বিধায়ক ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গাতিওয়ার সহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব চাইছেন গড়করিই মুখ্যমন্ত্রী হোন। তিনি নিজে গড়করিকে অনুরোধ করবেন বলে জানিয়েছেন সুধীর। দিল্লির হাওয়ায় বেশ খুশিই আছেন গড়করি, ফলে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফেরার কোনও ইচ্ছেই তাঁর নেই। একথা আগেই জানিয়েদিয়েছিলেন গড়করি, ""আমি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেই।''
সোমবার গড়করি-অমিত শাহ বৈঠক জল্পনা তৈরি করে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসাতেই এই সাক্ষাৎ। পরে অবশ্য দলীয় সুত্রে এই খবর খণ্ডন করা হয়। প্রথমটাই মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি দেবেন্দ্র ফডনাবিসের নাম উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। কিন্তু দলীয় শীর্ষ নেতাদের খানিকটা মতানৈক্যের জেরে তাঁর নাম পেছনে পরে যায়।