তরুণ প্রজন্মই রাস্তা দেখিয়েছে, মত ভার্মা কমিটির
মহিলাদের ওপর নিগ্রহের ঘটনায় দেশের বর্তমান আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব বলে জানাল ভার্মা কমিটি। তবে তারজন্য আইনের শাসনের পাশাপাশি দ্রুত বিচার জরুরি বলে জানান কমিটির প্রধান বিচারপতি জে এস ভার্মা। আজই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় বিচারপতি ভার্মা নেতৃত্বে তৈরি ওই কমিটি।
মহিলাদের ওপর নিগ্রহের ঘটনায় দেশের বর্তমান আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব বলে জানাল ভার্মা কমিটি। তবে তারজন্য আইনের শাসনের পাশাপাশি দ্রুত বিচার জরুরি বলে জানান কমিটির প্রধান বিচারপতি জে এস ভার্মা। আজই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় বিচারপতি ভার্মা নেতৃত্বে তৈরি ওই কমিটি।
দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পরই মহিলাদের ওপর যৌন নিগ্রহে কঠোর শাস্তির দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। প্রধানত যুবসম্প্রদায় পথে নামায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এরপরই যৌন নিগ্রহের শাস্তি নিয়ে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কেন্দ্র। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন বিচারপতি জে এস ভার্মার নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর ঘটনার এক সপ্তাহ পর তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠিত হয়। রিপোর্ট পেশের পর সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বিচারপতি ভার্মা বলেন, ভারতের যুবসমাজই চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা যুব সমাজের কাছে ঋণী। প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে তারা অত্যন্ত পররণত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। যেভাবে কোনও পূর্ব পরিচয় ছাড়াই সাধারণ মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমি সত্যিই অভিভূত। আমি এটাকে কোনও আন্দোলন বলব না, এটা স্বতস্ফূর্ত প্রতিবাদ। তরুণ প্রজন্ম আমাদের, প্রবীন প্রজন্মকে এমন কিছু শিক্ষা দিয়েছে যেই বিষয় আমরা সত্যিই সচেতন ছিলাম না। তরণ প্রজন্ম সচেতন। এটাই সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনার প্রথম ধাপ। আমি নিশ্চিত, ধীরে ধীরে এই পরিবর্তনে গতি আসবে।
ভার্মা জানিয়েছেন রিপোর্ট পেশের সময় কমিটি শুধু ভারতের নয়, দেশের বাইরে থেকেও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছে। অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অস্ট্রেলিয়ার এক বিচারক ও কানাডার সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস রিপোর্ট পেশে বিশেষ সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।