এবার শপিং থেকে ব্যাঙ্কিং, ২৪ ঘণ্টাই খোলা ভারতে!

দিনে ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় হয়নি? রাতে যেতে পারলে সুবিধা হত? এতদিন উপায় না থাকলেও, এবার মিলতে পারে এই সুযোগ। সারা রাত খোলা রাখা হতে পারে ব্যাঙ্ক। সেই পথ প্রশস্ত করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু ব্যাঙ্কই না, খোলা রাখা যেতে পারে দোকানবাজার, শপিং মলও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গিয়েছে মডেল শপ অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট। তাতেই রয়েছে এই নতুন নিয়ম-কানুন।

Updated By: Jun 29, 2016, 11:14 PM IST
এবার শপিং থেকে ব্যাঙ্কিং, ২৪ ঘণ্টাই খোলা ভারতে!

ওয়েব ডেস্ক : দিনে ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় হয়নি? রাতে যেতে পারলে সুবিধা হত? এতদিন উপায় না থাকলেও, এবার মিলতে পারে এই সুযোগ। সারা রাত খোলা রাখা হতে পারে ব্যাঙ্ক। সেই পথ প্রশস্ত করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু ব্যাঙ্কই না, খোলা রাখা যেতে পারে দোকানবাজার, শপিং মলও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গিয়েছে মডেল শপ অ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট। তাতেই রয়েছে এই নতুন নিয়ম-কানুন।

গভীর রাতে অফিস থেকে ফিরছেন। ভাবলেন শপিং মলে কেনাকাটা করে নেবেন বা সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরবেন কাকভোরে। এতদিন এটা অসম্ভব হলেও এবার থেকে তা সম্ভব হতে পারে। শপিং মল, সিনেমা হল এমনকী ছোট দোকানও ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টা খুলে রাখার পথ করে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এইসব জায়গায় গভীর রাতে মহিলাদের কাজের রাস্তাও খুলে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে দাবি কেন্দ্রের। 

বুধবার মডেল শপস অ্যান্ড এসট্যাবলিশমেন্ট বিলে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিলে বলা হয়েছে,

কমপক্ষে দশ জন কর্মী থাকলে দোকান-বাজার, শপিং মল, সিনেমা হলের মতো প্রতিষ্ঠান ৩৬৫ দিন খোলা রাখা যাবে। খোলা-বন্ধের সময় ঠিক করার স্বাধীনতা থাকবে

কর্তৃপক্ষের হাতে। এই বিল আইনে পরিণত হলে শপিং মলের মতো ছোট দোকানও সারা সপ্তাহ সারা দিন খোলা রাখা যাবে।

তথ্য-প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তির মতো সংস্থার কর্মীরা দৈনিক ন-ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজের বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় পাবেন। উপযুক্ত সুরক্ষা, বাড়ি পৌছনোর ব্যবস্থা, কর্মস্থলে ক্রেশের সুবিধা থাকলে মহিলাদের গভীর রাতেও কাজ করানো যাবে। দোকান-বাজারের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইন-কানুন তৈরির অধিকার রয়েছে রাজ্যের হাতে। ফলে, মন্ত্রিসভা যে বিলে ছাড়পত্র দিয়েছে সেটি শুধুমাত্র মডেল বিল বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলির কাছে এই বিল পাঠানো হবে। রাজ্য চাইলে বিলটি আইনে পরিণত করতে পারে, বিলে সংশোধন করতে পারে বা বিল একেবারে খারিজ করতে পারে।

এদিন জাতীয় খনন নীতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। এর ফলে খনিজ পদার্থ উত্তোলনে আরও বেশি বেসরকারি সংস্থার আসার রাস্তা খুলে যাবে। নতুন নীতি অনুযায়ী খুব দ্রুত ১০০টি খনিজ ব্লক ই-নিলাম করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

.