সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন সীতারাম ইয়েচুরি
প্রকাশ কারাটের উত্তরসূরী হতে চলেছেন সীতারাম ইয়েচুরিই। যদিও শেষ মুহূর্তে দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উঠে আসছিল এসআর পিল্লাইয়ের নাম। কেরলের সদস্যদের সমর্থনও ছিল তাঁর পক্ষেই। কিন্তু কেরলের চাপ থাকলেও দলের অধিকাংশ সদস্যই সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইয়েচুরিকেই চাইছিলেন।
ওয়েব ডেস্ক: প্রকাশ কারাটের উত্তরসূরী হতে চলেছেন সীতারাম ইয়েচুরিই। যদিও শেষ মুহূর্তে দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উঠে আসছিল এসআর পিল্লাইয়ের নাম। কেরলের সদস্যদের সমর্থনও ছিল তাঁর পক্ষেই। কিন্তু কেরলের চাপ থাকলেও দলের অধিকাংশ সদস্যই সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইয়েচুরিকেই চাইছিলেন।
তাই শেষ মুহূর্তে নিজেকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদের লড়াই থেকে সরিয়ে নেন এসআর পিল্লাই। ফলে বিশাখাপত্তনমে দলের পার্টি কংগ্রেসের শেষদিনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরির নামই যে ঠিক হতে চলেছে তা একরকম নিশ্চিত।
এখনই তৃতীয় বিকল্প নয়। বরং বাম শক্তিগুলির মধ্যে ঐক্য বাড়ানোর উপরেই জোর দিচ্ছে সিপিআইএম। পার্টি কংগ্রেসের তৃতীয় দিনে এই মর্মেই প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
দলের গণসংগঠনগুলিকে নিয়ে কীভাবে আন্দোলন হবে, তা ঠিক হবে দলের আসন্ন সাংগঠনিক প্লেনামে। গত কয়েকবছরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাম দলগুলির শক্তি তো বাড়েইনি। বরং কমেছে। একদা লালদুর্গ পশ্চিমবঙ্গেও জমি হারিয়েছে বামেরা। জাতীয় স্তরে শক্তি বাড়াতে গিয়ে তৃতীয় বিকল্পের কথাও উঠে এসেছে একাধিকবার। তবে তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি।
এবার আর তৃতীয় বিকল্প বা ফ্রন্ট গঠনে জোর দিচ্ছে না সিপিআইএম। বাম দলগুলির মধ্যে ঐক্য এবং নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলার উপরেই জোর দিচ্ছে দল। একুশতম পার্টি কংগ্রেসে সেই মর্মে প্রস্তাবই গৃহীত হয়েছে।
দলের গণসংগঠনগুলি নিয়ে কীভাবে আন্দোলন হবে তা ঠিক হবে কলকাতায় হতে চলা প্লেনামে।
পশ্চিমবঙ্গে বামশক্তির উপর আক্রমণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অভিযোগ সিপিআইএমের। এর জন্য পুরোপুরি দায়ী করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।