জম্মু-কাশ্মীরে বন্যায় নিখোঁজ এ রাজ্যের ৬০ পর্যটক, ১৫ শ্রমিক
খোঁজ মিলছে না বন্যাবিধ্বস্ত জম্মু-কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়া এ রাজ্যের ৬০ জন পর্যটকের। চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকে পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এর জেরে উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন হলদিয়ার সুতাহাটা, দুর্গাচক, ভবানীপুরের বেশ কিছু পরিবার। খোঁজ মিলছে না কাশ্মীরে কাজ করতে যাওয়া ১৫ জন শ্রমিকেরও।
আজ মালদার চাঁচোলে তাঁদের দেহ নিয়ে আসার গুজব ছড়ায়। এর জেরে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন। ভূস্বর্গের উদ্বেগ বয়ে এল এ রাজ্যেও। জম্মু-কাশ্মীরের জলছবিতে মেদিনীপুর, মালদার কান্নার রঙ। ২৮ অগাস্ট বেরিয়েছিলেন ওঁরা। আজমেঢ় শরিফ হয়ে কাশ্মীর দর্শন। একুশ দিনের ট্যুরে বাসে উঠেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের ষাট পর্যটক। হলদিয়ার সুতাহাটা, দুর্গাচক ও ভবানীপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বেরিয়েছিলেন ওঁরা। তিন সেপ্টেম্বর শেষ কথা হয়েছিল পরিবারের সঙ্গে। তখন ওঁরা ছিলেন শ্রীনগর থেকে বারো কিলোমিটার দূরে। নিখোঁজদের মধ্যে ৩০ জন সুতাহাটা থানার শ্রীকৃষ্ণপুর কলোনির বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, সুতাহাটা থানায় বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। প্রিয়জনদের খোঁজ পেতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে পরিবার।
মালদার চাঁচোলের সামসি কান্দারন, উত্তর খেলানপুর থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়েছেন পনেরো জন শ্রমিক। সোমবার হঠাত্ই খবর আসে, বন্যাধ্বস্ত কাশ্মীর থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে তাঁদের দেহ। গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। ভয়াবহ বন্যায় জম্মু-কাশ্মীরে মৃতের সংখ্যা দেড়শো ছাড়িয়েছে। জলবন্দি বহু। কোথায় আটকে আছেন এ রাজ্যের পর্যটকরা, আদৌ বেঁচে আছেন কি না, জানেন না পরিবারের লোকজন। আছে শুধুই একরাশ আশা আর প্রার্থনা। ওঁরা ফিরে আসুন সুস্থ দেহে।