ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরই অবসর 'ধোনি'র
প্রতিদিন ২০-৩০টা ডিম আর ২ থেকে ৩ লিটার দুধ ওর লাগেই। চাপাটি একেবারেই পছন্দ করে না।" তিনি জানান, "বিস্ফোরক উদ্ধারে স্পেশ্যালিস্ট ছিল ধোনি। যেকোনো অপারেশনে ওর তত্পরতা দেখার মতো। আমাদের সম্পদ ধোনি। ও-কে খুব মিস করব।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: দশ বছরের কেরিয়ার শেষ করে অবসর নিতে চলেছে মোহালি পুলিসের স্নিফার ডগ ধোনি। ১৩ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষবার মাঠে নামবে ধোনি। গোটা স্টেডিয়ামে সন্দেহজনক বস্তু খুঁজে বার করার দায়িত্ব থাকবে তারই ওপর। তারপরই ছুটি দেওয়া হবে মোহালি পুলিসের সাদা রঙের ল্যাবকে। ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরই প্রশাসনের তরফে আয়োজিত এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে ধোনিকে সম্মানিত করবে মোহালি পুলিস। শুধু ধোনি নয়, ওই দিনই ধোনির আরও দুই সতীর্থ জন এবং প্রীতিও অবসর নেবে বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর খবর।
আরও পড়ুন- বিরাটকে কঠিন প্রশ্ন বিশ্বসুন্দরীর! উত্তরে মাত করলেন ভারত অধিনায়ক
অবসরের পর ধোনিকে যদি কেউ দত্তক নিতে চান, সে বন্দোবস্তও করা হয়েছে পুলিসের তরফে। স্নিফার ডগ ধোনি, প্রীতি এবং জনকে দত্তক নিতে নিলামের আয়জন করবে মোহালি পুলিশ। ডাক শুরু হবে ন্যূনতম ৮০০ টাকা থেকে।
বয়স যখন মাত্র তিন মাস, আহমেদনগর থেকে ধোনিকে নিয়ে এসছিল মোহালি পুলিস। ২০০৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত চণ্ডীগড় পুলিশ লাইনেই কাজ করেছে মোহালি পুলিসের প্রিয় এই ল্যাব। পুলিসের বাড়িতে আসার পর থেকেই ধোনিকে দেখভাল করতেন অমৃক সিং। ২০১১ সালের ভারত-পাক ম্যাচেও দায়িত্ব পালন করছে এই সাদা ল্যাব। এমনকি জিরাখপুরে যখন ধর্ষক রাম রহিমের অনুরাগীরা তাণ্ডব চালাচ্ছিল, তখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ধোনি। পঞ্চকুলার মত অতি স্পর্শকাতর অঞ্চলেও জীবন বাজি রেখেছে দায়িত্ব সামলেছে সারমেয়টি।
আরও পড়ুন- 'পৃথিবী জয়ের' দায়িত্ব পৃথ্বীর কাঁধে
ধোনির অবসরের আগে আবেগপ্রবণ অমৃক সিং বলছেন, "ধোনি খুব ডিম খেতে ভালবাসত। প্রতিদিন ২০-৩০টা ডিম আর ২ থেকে ৩ লিটার দুধ ওর লাগেই। চাপাটি একেবারেই পছন্দ করে না।" তিনি জানান, "বিস্ফোরক উদ্ধারে স্পেশ্যালিস্ট ছিল ধোনি। যেকোনো অপারেশনে ওর তত্পরতা দেখার মতো। আমাদের সম্পদ ধোনি। ও-কে খুব মিস করব।"