গান্ধী ও ভারত সমার্থক শব্দ, আরএসএস সে জায়গা নিতে চাইছে, বললেন সনিয়া
গান্ধীজির এই জন্ম সার্ধ শতবর্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। স্বচ্ছ ভারত-প্ল্যাস্টিক মুক্ত ভারত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। সচেতনতা গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই
নিজস্ব প্রতিবেদন: গান্ধী এবং ভারত –এই দুটি সমর্থক শব্দ। কিন্তু কিছু মানুষ ভারতকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের (আরএসএস) সমর্থক শব্দ বানাতে চাইছেন। বুধবার, মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে বিজেপিকে এভাবেই তুলোধনা করলেন ইউপিএ-এর চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। এ দিন সনিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরে যে ঘটনা ঘটে চলেছে, তা দেখলে গান্ধীজিও মর্মাহত হতেন।
উল্লেখ্য, গান্ধীজির এই জন্ম সার্ধ শতবর্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। স্বচ্ছ ভারত-প্ল্যাস্টিক মুক্ত ভারত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। সচেতনতা গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই। মহাত্মা গান্ধীর এই জন্ম বার্ষিকীকে সামনে রেখেই নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের এ হেন কর্মসূচিকে ‘মিথ্যেবাদীর রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেন সনিয়া।
আরও পড়ুন- টাকা দিলেই পুত্র সন্তান জন্মের গ্যারান্টি! বড়সড় প্রতারণা চক্রের হদিশ
কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী বলেন, যাঁরা মিথ্যের রাজনীতি করেন, তাঁরা গান্ধীর অহিংস মতার্দশ বুঝতে পারবেন না। সনিয়ার পাশাপাশি, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও বঢরাকেও মোদী সরকারের সমালোচনা করতে দেখা যায়। তাঁর কথায়, “সত্যের সন্ধান করাই ছিল গান্ধীর নির্দেশ। বিজেপি আগে সেই সত্যের সন্ধান করুক, পরে তাঁর সম্বন্ধে কথা বলা উচিত।” এ দিন সকালে ‘গান্ধী সন্দেশ যাত্রা’ শুরু হয় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে। দীন দয়াল উপাধ্যায় সরণীর কংগ্রেস কার্যালয় থেকে রাজ ঘাট পর্যন্ত পদযাত্রা করেন রাহুল গান্ধী।